ক.বি.ডেস্ক: আইসিটির ক্রমবিকাশমান ধারার সঙ্গে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতামূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ২৮তম পর্বে গত সেমাবার (২২ নভেম্বর) আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) স্বাধীনতা মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০০০টি দশম প্রজন্মের ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ তুলে দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত্ চন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ওমর ফারুক।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইইউ’র ট্রেজারার মমিনুল হক মজুমদার, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ডিআইইউ’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার।
অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত্ চন্দ বলেন, একটা সময়ে ব্যবসায় প্রশাসনে ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ ছিল। এখন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে আইসিটির দিকে। এটাই যুগের চাহিদা। বর্তমান সময়টাই হচ্ছে আইসিটির।আইসিটির জ্ঞান ছাড়া এই পৃথিবীতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন উদ্যোগ আছে বলে শুনিনি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে ল্যাপটপ কেনার জন্য ঋণ দেয়। কিন্তু ল্যাপটপ দেয় বলে জানি না। ড্যাফেডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উদ্যোগ নজিরবিহীন।
ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে দুইটি বিষয়য়ে দক্ষতা অর্জন করা দরকার। একটি হচ্ছে যোগাযোগ দক্ষতা, আরেকটি প্রযুক্তি দক্ষতা। আর এ দুটি দক্ষতা অর্জনের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে ল্যাপটপ।ডিআইইউ শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক পৃথিবীর উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সেই অস্ত্রই তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। ভাষা দক্ষতা, একটি ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পৃথিবীর যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব।