Friday, November 29, 2024
More

    সর্বশেষ

    ডিআইইউতে ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উপলক্ষে অনলাইনে আলোচনা সভা

    বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষ্যে আজ (১৬ জুলাই) ড্যাফোডিল পরিবার ও এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই)- যৌথ আয়োজনে ‘কোভিড-১৯ এবং তার পরবর্তী সময়ের প্রতিযোগিতামূলক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় আমরা কি প্রস্তুত?’ শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ডিরেক্টরেট অব টেকনিক্যাল এডুকেশনের মহাপরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন, এটুআই প্রকল্পের ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাবের প্রধান আসাদ উজ জামান, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির এবং প্রথম আলোর যুব প্রকল্প কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান। সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এবং সঞ্চালনা করেন বিএসডিআই’র নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন।

    ডা. দীপু মনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির আগেও আমাদের দক্ষতার চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা সেই চ্যালেঞ্চ একটু একটু করে মোকাবেলা করছিলাম। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এসে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা কতটুকু।আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দিচ্ছে যে আমাদের তরুণ প্রজন্ম সব সময় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। আমাদের বড় বড় সব অর্জন তরুণদের হাত ধরে এসেছে। সুতরাং তরুণরা এই সংকটও সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীকে একই শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করছি। এটা ভুল। কারণ সবার দক্ষতা একরকম নয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তার দক্ষতা অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করা উচিত। কে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করবে, কে টেকনিক্যাল শিক্ষা গ্রহণ করবে আর কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণ করবে তা নির্ধারণ করা উচিত দক্ষতা বিবেচনা করে। আমাদের সমাজে কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে ট্যাবু রয়েছে। এ ধরনের শিক্ষাকে সম্মানের চোখে দেখা হয় না। ফলে সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে যায়। সবাই বিবিএস ক্যাডার হতে চায়। এই ট্যাবু ভাঙতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. নাসির উদ্দিন বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে শতকরা ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। করোনা মহামারির সময়ে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষার আওতায় আনার চেষ্টা করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের শতবর্ষী ১৩টি কলেজ ও ৮টি মডেল কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে নিয়মিত পাঠদান চলছে। এ ছাড়াও ১৭ হাজার ভিডিও লেকচার তৈরির কাজ চলছে। এসব লেকচার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের কথাও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভাবছে বলে জানান তিনি।

    মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আমাদের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের প্রচুর দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য এখনই নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। কোভিড-উত্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের যেসব দক্ষতা প্রয়োজন হবে সেগুলো হচ্ছে লিডারশিপ, দূরদর্শিতা, ইনোভেশন, ব্যবস্থাপনা, কৌশল ইত্যাদি। এসব দক্ষতা অর্জন করার জন্য তরুণ প্রজন্মকে এখন থেকেই প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান তিনি।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.