Thursday, November 28, 2024
More

    সর্বশেষ

    ডাক, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা’র উদ্বোধন

    ক.বি.ডেস্ক: ডাকযোগে ভূমিসেবা, ভূমিসেবায় ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা’র উদ্বোধন করা হয়। এখন থেকে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করেই খতিয়ান ও ম্যাপের আবেদন করতে পারবেন ভূমি মালিক। এর ফলে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ হ্রাস পাবে এবং ই-পর্চা, ই-রেজিস্ট্রেশন, এলডি ট্যাক্স সিস্টেম, ভার্চুয়াল শুনানি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন হবে। এ ছাড়া, এমএফএস’র মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে তাতক্ষনিক ফি জমা প্রদান করার সুযোগ এবং ভূমি অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ডিসিআর সংগ্রহ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে নাগরিকদের। এতে মানুষের অর্থ-খরচ ও ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে।

    সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবন মিলনায়তনে ‘‘ডাকযোগে ভূমিসেবা, ভূমিসেবায় ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা’’ এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

    সাইফুজ্জামান চৌধুরী
    ভূমিমন্ত্রী

    ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পটুয়াখালী ও বরগুনায় শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে বাংলাদেশের সর্বশেষ ভূমি জরিপ হবে। পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন হবার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন হয়ে গেলে নতুন ভূমি কিংবা জেগে ওঠা চর ছাড়া পরবর্তীতে আর ভূমি জরিপের (জরিপ বলতে এখানে ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ) প্রয়োজন হবেনা। ভূমি হাত বদলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খতিয়ান ও ম্যাপ প্রস্তুত হয়ে যাবে, ফলে যুগযুগ ধরে জরিপের হয়রানি থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে।

    তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ জনসেবা পদক পেয়েছে এতে প্রমাণিত হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় আজ সরকারের অন্যতম উন্নয়ন ও গতিশীল মন্ত্রণালয়। ভূমি মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভূমিসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারাই আমাদের লক্ষ্য। ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ছাড়াও আইন ও বিধি সংশোধন হচ্ছে। হাট ও বাজার আইনের আওতায় ভূমিগুলোতে স্থানীয় পৌরসভার সঙ্গে যৌথভাবে উন্নয়ন কাজ করা হবে। এখন থেকে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করেই খতিয়ান ও ম্যাপের আবেদন করতে পারবেন ভূমি মালিক। এ ছাড়া জমির মালিক খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে প্রদান করতে পারবে। সেই সঙ্গে ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা)/জমির ম্যাপ নিজ ঠিকানায় নিতে পারবেন।

    ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ হোল্টিং এন্ট্রি হয়ে গিয়েছে। প্রায় দেড় কোটি মানুষ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে ১২ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে আদায়। ১ লক্ষ ৩৯ হাজার মৌজা ম্যাপ ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ কোটি ১২ লক্ষ ডাটা ডিজিটাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে এন্ট্রি করা হয়েছে। ডিজিটাল মৌজা ম্যাপ ও মালিকানার তথ্য আত্তীকরণ করা হবে।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.