ক.বি.ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪৭তম শাহাদাত্ বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব আইটি’র (ডিআইআইটি) উদ্যোগে সম্প্রতি (২২ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কের ৭১ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিআইআইটি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইআইটি’র গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম মাহফুজুর রহমান ও ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল পরিবারের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি বলেন, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন বলেই ৭১ এর পরাজিত শক্তিরাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। আওয়ামীলীগের শাসনামলেই সমস্টিক উন্নয়ন সব সময় উর্ধ্বমুখী থাকে আর অন্যরা রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে সমস্টিক উন্নয়ন সব সময় নিম্নমুখী হয়ে যায়। অনেকেই বলেন শিক্ষার মান পড়ে গেছে। কিন্তু আমি তা দেখি না। অনেকে বলেন রাজধানীতে শিক্ষার মান এক রকম, গ্রামে আরেক রকম। তাই যদি হতো তবে বিভিন্ন অলিম্পিয়ার্ডে শুধু ঢাকার শিক্ষার্থীরাই ভালো ফল করত। কিন্তু আমরা দেখছি এসব প্রতিযোগিতায় খুলনা, সিলেট ও জেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও ভালো করছে। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহকে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের মানদন্ডগুলির প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
ড. মশিউর রহমান বলেন, আজ আমরা যেখানে অবস্থান করছি এর জন্য বঙ্গবন্ধুকে ১২ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হৃদয়ে ধারন করে আমরা একটি মানবিক, আদর্শভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যেখানে সমতাভিত্তিক সমাজ তৈরী হবে।
ড. মো. সবুর খান বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমপিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট টেক্স প্রত্যাহারের দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিনের সিদ্ধান্তই আজকে প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারের উপযোগী করে নিজেকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।