মেরু ভাল্লুক, তিমি, হাঙর এবং গজলা হরিণসহ (ছোট আকৃতির হরিণ) মোট ৩১টি প্রজাতিকে জাতিসংঘ তাদের নতুন সংরক্ষন নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত করেছে।
The UN Conservation of Migratory Species of Wild Animals (CMS) ৬ দিন ধরে আলোচনার পর জাতিসংঘের কনজারভেশন বডি ভ্রাম্যমান বা যাযাবর (migratory) এসব পাখি, মাছ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীকে জাতিসংঘ সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করেছে।
রেকর্ড পরিমাণ ২১টি প্রজাতির হাঙর, রে মাছ এবং সফিশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই তালিকায়। আর্কটিক অঞ্চলে প্রাপ্ত মেরু ভাল্লুক এবং কুভিয়ার’স বিকড তিমিও আছে এই তালিকায়। তালিকায় আরো আছে আফ্রিকায় প্রাপ্ত গজলা হরিণ এবং বাস্টার্ড নামক পাখি বিশেষ (দ্রুত দৌড়াতে পারে এমন এক ধরণের বড় পাখি)।
‘এসব প্রাণীদের সংরক্ষণের মাধ্যমেই পরিবেশের সংরক্ষন সম্ভব’- এমনটাই মনে করেন সিএমএস এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ব্রাডনি চেম্বারস। তিনি আরও বলেন, ‘সাগরে প্লাস্টিকের দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বেআইনিভাবে পশু শিকার ও পাচারের কারণে প্রতিবছর প্রচুর মাইগ্রেটরি প্রাণী হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।’
১২০টি দেশের নয়শ’রও বেশি বিশেষজ্ঞরা ৬ দিন ধরে আলোচনার পর এ তালিকাটি তৈরি করেন। শুধুমাত্র একটি প্রাণী বাদে বাকি আবেদনকৃত সব প্রাণীকেই তালিকায় জায়গা দেয়া হয়েছে।
বাদ পড়েছে শুধু আফ্রিকান সিংহ। কেননা যে দেশে প্রাণীটি বাস করে সেখান থেকে প্রাণীটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লখ্যে সিএমএস পরবর্তী সভা হবে ২০১৭ সালে ফিলিপাইনে।