প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে অনলাইন শপিং তথা ই-কমার্স গ্রাহকদের বা ক্রেতাদের অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটায় মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশই সম্পন্ন হয়ে থাকে ক্যাশ-অন-ডেলিভারির (সিওডি) মাধ্যমে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে মানুষ এখন ক্রমান্বয়ে অনলাইন অর্ডারেই বেশী ঝুঁকে পড়ছে।
মাস্টারর্কাড ও ইর্স্টান ব্যাংকের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী ‘ক্যাশলেস পে’সেবাটি চালু করে দেশের হোম ডেলিভারি নেটওর্য়াক পেপাররফ্লাই। এরই ধারাবাহিকতায় এবার পেপাররফ্লাইের সঙ্গে যুক্ত হল ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ। সম্প্রতি পেপাররফ্লাইের সঙ্গে নগদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নগদ ব্যবহারকারীরা অনলাইনে তাদের অর্ডার করা পণ্যগুলি খুব সহজে এবং নিরাপদে তাদের দোরগোড়ায় পেতে পারবেন।
এই ক্যাশলেস পে সেবার মাধ্যমে ক্রেতারা অনলাইনে র্অডার দিয়ে পণ্য নিজেদের দোরগোড়ায় পাওয়ার ক্ষেত্রে পণ্য গ্রহণের সময় নগদ মূল্য পরিশোধের পরিবর্তে ডিজিটাল উপায়ে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। ক্যাশলেস পেমেন্টের ক্ষেত্রে দেশে এটি প্রথম সেবা, যার জন্য কোনো পয়েন্ট অব সেলস মেশিনের প্রয়োজন নেই। ক্রেতারা পেপারফ্লাইর সরবরাহ করা পণ্যের দাম পরিশোধ করতে নিজেদের স্মার্টফোন ব্রাউজার ও তাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই সহজে ক্যাশলেস পে’র মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটায় দাম পরিশোধের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশই সম্পন্ন হয়ে থাকে ক্যাশ-অন-ডেলিভারির মাধ্যমে। কোভিড-১৯ মানুষকে নগদ অর্থ লেনদেনের পরিবর্তে ডিজিটাল পেমেন্টের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক নোট বা নগদ টাকা র্স্পশ করাও এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকায় মানুষ ক্রমান্বয়ে ক্যাশলেস লেনদেনে ঝুঁকে পড়ছে।
তাছাড়া ই-কর্মাস তথা অনলাইন প্লাটফর্ম ক্রেতা-ভোক্তাদের ঘরে বসইে ডিজিটিাল উপায়ে নিরাপদে,স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিশ্চিন্ত মনে নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কেনার সুযোগ এনে দিয়েছে। মাস্টারকার্ডের সাম্প্রতিক একটি জরিপে দ্যাখা গেছে বশ্বিব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন জানিয়েছেন যে তাঁরা র্বতমান করোনাকালে গতানুগতিক ধারা ছেড়ে অনলাইনভিত্তিক লেনদেন করছেন এবং করোনার পরেও স্থায়ীভাবে এই পদ্ধতিতে কেনাকাটা করতে চান।