ক.বি.ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ই-ক্যাব কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আজ রববিার (৪ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে ‘ডিজিটাল হাট’। অনলাইনে গরু কেনাবেচায় গ্রাহক যখন গরু পাবেন, তখনই টাকা ছাড় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল হাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এবারের ডিজিটাল হাটে শুধু ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা পশু বিক্রি করতে পারবে। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ ধরনের কৌশল রাখা হয়েছে। গ্রাহককে সময়মতো কোরবানির পশু দিতে না পারলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার স্টোর পদ্ধতি চালু হয়েছে। গ্রাহক যখন গরু পেয়ে যাবেন, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা রিলিজ হবে। অনলাইনের মাধ্যমে গরু কিনতে পারবেন, বুকিং করে দিলে জবাই দিয়ে বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে। এক লাখ গরুর টার্গেট নিয়েছি। গতবার ডিজিটাল হাটে তিন সপ্তাহে ২৭ হাজার পশু বিক্রি করতে পেুরেছি। এবার এক লাখ বিক্রির টার্গেট। এক লাখ বিক্রি করতে পারলে ন্যূনতম পাঁচ লাখ লোক গরুর হাটে যাবে না। এ ছাড়া মানবসেবা প্ল্যাটফর্মে চামড়া বিক্রি করে মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হবে।
গত ৩০ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় ও স্লটারিং সেবা সংক্রান্ত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে এবারের ডিজিটাল কোরবানির হাট বাস্তবায়ন করছে ডিএনসিসি, ই-ক্যাব ও বিডিএফএ। কারিগরি সহযোগিতায় এটুআইয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম একশপ।