ক.বি.ডেস্ক: কুমিল্লাতে তিন দিনব্যাপী (১২-১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘‘স্টার্টআপ ইনকিউবেশন’’ প্রোগ্রাম শুরু করল আইডিয়া প্রকল্প। স্টার্টআপ কুমিল্লার সহযোগিতায় এই আয়োজনটি কুমিল্লার কান্দিরপার কুমিল্লা আইটি পার্কে চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই আয়োজনে কুমিল্লা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার নির্বাচিত ৩৯টি স্টার্টআপের ৮০ জন তরুণ বিনা মূল্যে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে।
আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত স্টার্টআপ ইনকিউবেশন প্রোগ্রাম এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এবং আইডিয়া প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের জেষ্ঠ্য পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবির।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে সে সমস্ত বৈশ্বিক সম্ভাবনার সুযোগ গ্রহণ করার সুবিধা নিতে পারেন। খুব তাড়াতাড়ি সবাই বড় হতে চাইলে সহজে কোন কিছু শিখতে পারা সম্ভব হবে না এবং সফল হওয়া যাবে না। তাই ধৈর্য ধরে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যেতে তিনি তরুণদের পরামর্শ দেন। শীর্ষ পর্যায়ে যেতে হলে প্রথমে শিখতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং পাশাপাশি সঠিক ও সত চিন্তা করতে হবে।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, নিজে চিন্তা করে, নিজে আইডিয়া জেনারেট করে বাস্তবে একটি স্টার্টআপকে প্রি-সীড বা গ্রোথ পর্যায়ে অর্থাত একটা উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কালচার পূর্বে ছিল না। বর্তমানে স্টার্টআপদের জন্য সুযোগ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব পৌছেঁ দেয়ার চেষ্টা চলছে এবং পাশাপাশি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারগুলোতেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়ও তরুণদের জন্য রয়েছে মেনটরিং সাপোর্ট, অনুদান সাপোর্ট, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সাপোর্টসহ নানা সুযোগ যার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে একটি সুন্দর ইকোসিস্টেম। এই সুযোগগুলো তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। স্টার্টআপদের জন্য আইসিটি বিভাগ এবং আইডিয়া এর মাধ্যমে সহযোগিতা চলমান থাকবে।
কিভাবে একটি উদ্যোক্তার মানসিকতা বিকাশ করা যায়, কিভাবে স্টার্টআপ তার আইডিয়াটি ডেভেলপ এবং যাচাই করবেন, স্টার্টআপের সফল বাস্তবায়ন, উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন আইনি এবং নৈতিক সমস্যাসহ স্টার্টআপ সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায় নিয়ে এই ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে উদ্যোক্তাদের জন্য থাকছে বিশেষ সেশন।
স্টার্টআপদের আর্থিক কৌশল, আর্থিক বিশ্লেষণ, ব্যবসায়িক মডেল, মার্কেটিং ও বিক্রয় কৌশল এবং পরিকল্পনাসহ স্টার্টআপ মূল্যায়ন পদ্ধতিসমূহ তিন দিনব্যাপী এই স্টার্টআপ ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে প্রশিক্ষনের বিষয় হিসেবে প্রাধান্য পাবে। এ প্রশিক্ষণের মধ্য থেকে শীর্ষ স্টার্টআপগুলো আইডিয়া প্রকল্প হতে ১০ লক্ষ টাকা অনুদানের জন্য আবেদন করবেন। এক্ষেত্রে অনুদান প্রদানের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। আইডিয়া প্রকল্পের সিলেকশন কমিটি চূড়ান্তভাবে যোগ্য বিবেচিত স্টার্টআপ ১০ লক্ষ টাকা অনুদান গ্রহণের সুযোগ পাবেন।