Thursday, December 19, 2024
More

    সর্বশেষ

    কিছু সংখ্যক উদ্যোক্তা ই-কমার্সের নামে প্রতারণা করছে, এটা বন্ধ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ

    ক.বি.ডেস্ক: ই-কমার্সের প্রতি ত্রেতাদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে। এ আগ্রহকে ধরে রাখতে হলে ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। কিন্তু কিছু সংখ্যক উদ্যোক্তা ই-কমার্সের নামে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। অনলাইনে এক ধরণের পণ্য প্রদর্শন করে ডেলিভারি দিচ্ছে নিম্নমানের বা অন্য পণ্য। ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে এবং অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহ হারাচ্ছে। মুষ্ঠিমেয় কিছু অসাধু লোকের প্রতারণার জন্য যাতে ই-কমার্সের মতো একটি বিপুল সম্ভাবনাময় খাতের প্রসার কোনোভাবেই থেমে না যায় তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করতে হবে বলে জানান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তিনি আজ ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে (ধারণকৃত ভিডিও বার্তা) প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

    ‘মেক হেয়ার, সেল এভরিহোয়ার’ স্লোগানে রাজধানীর বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে চলছে তিন দিনব্যাপী (০১-০৩ এপ্রিল) ‘‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২১’’। অনলাইনে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। অনলাইনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইনলাম। অনলাইনে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন,স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল, ওয়ালটন ডিজিটেকের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম শামীম।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল হওয়ার লক্ষ্যে দেশে বিজ্ঞান, গবেষনা ও আইসিটির ভিত্তি রচনা করেছিলেন। ১৯৭২ সালে আইটিইউ সদস্যপদ লাভের উদ্যোগ নেন এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইটিইউ’র সদস্য হয়। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশনের উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে কমপিউটার আমদানীতে শুল্কহার হ্রাস করেন। মোবাইল ফোনের মনোপলি ভেঙ্গে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করেন।

    তিনি আরও বলেন, দেশের বিপুল শ্রমশক্তিকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় ডিজিটাল ডিভাইস উতপাদন শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। আইসিটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের আইসিটি খাতে রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনে তাদেরকে আরও অনেক সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। সরকার দেশে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসুচী বাস্তবায়ন করছে। অনলাইনে কেনাকাটা রেড়েছে। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে ই-কমার্সের প্রসার ঘটেছে। মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হওয়ায় নাগরিকগণ ডিজিটাল সেন্টার থেকে আর্থিক কর্মকান্ডের সুবধিা পাচ্ছে। আইসিটির প্রসারের ফলে সাইবার ক্রাইমের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। অনেক সময় বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেয়। তাই সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।

    এবারের এক্সপো উপভোগ করার জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর ও আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে DDIExpo 2021 নামের অ্যাপটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়াও www.ddiexpo.com ওয়েবসাইট ভিজিট করে যেকোনো সময় ভার্চুয়ালি প্রদর্শনী ঘুরে আসা যাবে। তবে প্রদর্শনীতে আয়োজিত সেমিনারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে। করোনা মহামারীর কারণে এবারের প্রদর্শনী সীমিত পরিসরে করা হচ্ছে। ফিজিক্যাল ও ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এবারের মূল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীতে থাকছে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ। এবারের প্রদর্শনীতে দেশীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পণ্য ভার্চুয়ালি প্রদর্শন করা হবে।

    আজ বিষয়ভিত্তিক ৬টি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারগুলো হলো জার্নি অব ফাউন্ডিং ইওর অওন ভেঞ্চার, রোল অব ইঞ্জিনিয়ার্স ইন সাপোর্টিং অ্যান্ড প্রমোটিং মেড ইন বাংলাদেশ, হার্নেসিং দ্য ভেলু অব ডিসরাপটিভ ইনোভেশনস, ফার্স্ট পিলার: ইন্ডাসট্রিয়াল ইনফ্রাসটাকচারস, ব্রিজিং দ্য গ্যাপ বিটুইন ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড একাডেমিয়া এবং সেকেন্ড পিলার: স্কিলড হিউম্যান রিসোর্সেস। অনলাইনে নিবন্ধিত হয়ে এই সেমিনারগুলোতে অংশ নেয়া যায়।

    ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২১ এবারের প্রদর্শনী আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প, এটুআই, স্টার্টাপ বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    এক্সপোর প্লাটিনাম স্পন্সর ইভ্যালি; গোল্ড স্পন্সর আসুস, ইপসন, স্যামসাং, ফেয়ার ইলেক্ট্রোনিক্স ও ওয়ালটন; সিলভার স্পন্সর হালিমা গ্রুপ, লিও ফাইবার, এমএসআই, ওরিক্স বায়োটেক, সনি র‌্যাংগস, সিডনি সান এবং টিপি লিংক; গেমিং পার্টনার গিগাবাইট; ইভেন্টের পার্টনার বিসিসি, আইসিটি অধিদপ্তর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথোরিটি, বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব, আইএসপিএবি, বিআইজেএফ এবং টিএমজিবি;

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.