ক.বি.ডেস্ক: যাত্রার চার বছরের মধ্যে হুয়াওয়ে ক্লাউড একটি আস্থাজনক ক্লাউড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চীন, থাইল্যান্ড ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাজারে যথাক্রমে দুই, তিন ও চার নম্বর অবস্থান অর্জন করে নিয়েছে হুয়াওয়ের এই সলিউশন। ডিজিটালাইজেশনের গতির সঙ্গে নিজেদের তাল মেলাতে ও শিল্পখাতের সম্ভাবনাসমূহ উন্মোচনে চলতি বছর হুয়াওয়ে ক্লাউড এ অঞ্চলে আরও নতুন ক্লাউড সলিউশন ও সেবা নিয়ে আসবে। এ সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অ্যাকসেলারেশন সার্ভিস (জিএ), রিয়েল টাইম অডিও ও ভিডিও সেবা (স্পার্কআরটিসি), সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রোডাকশন লাইন (ডেভক্লাউড) ও ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ গজডিবি (ওপেনগজ এর জন্য)।
এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে হুয়াওয়ে ক্লাউড। রবি, ইফাদ অটোস লিমিটেড, রকমারি.কম, বিডিজবস.কম, আজকেরডিল.কম, সিম্ফোনি সফটটেক লিমিটেড, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ডেইলি স্টার, ডিবিসি নিউজ, একাত্তর টিভি, ডেলিভারি টাইগার, ইউনিটেক্স, পারফে, ফ্লোরা টেলিকম ও আরও অনেক প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা গ্রহণ করছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবা প্রদান করে; যার মাধ্যমে দর্শনার্থী ও আগ্রহীরা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে গ্রন্থ মেলা সংক্রান্ত সকল তথ্য ডিজিটালি জানতে পারেন। স্থানীয় অনেক গ্রাহকের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও ডিজিটাল সলিউশন সংক্রান্ত চাহিদা পূরণে হুয়াওয়ে ক্লাউড ব্যবহার করছে। বিসিসি ক্লাউড ৩০টিরও বেশি বিভাগ ও সংস্থাসহ ৫০এরও বেশি প্রকল্প পরিচালনা করছে।
ন্যাশনাল ই-গভর্নমেন্ট ক্লাউড এবং এর সমন্বিত ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সহযোগে ন্যাশনাল ডিজিটাল ফাউন্ডেশন প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) হুয়াওযের ক্লাউড সেবা গ্রহণ করছে বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিসিসি ক্লাউডের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জন্য সমন্বিত বাজেট ও অ্যাকাউন্ট সিস্টেম, ভ্যাকসিন সিস্টেম ও ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি প্রকল্প সফলভাবে শেষ করেছে।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং বলেন, ক্লাউড সার্ভিস ও সলিউশন নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলদেশে অনেক দিন ধরে কাজ করছে। আমরা এ ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমেই ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরাণ্বিত করতে চাই। হুয়াওয়ে ক্লাউড বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা ভোগ করতে সাহায্য করছে। একইসঙ্গে এটি অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করছে। বিশেষ করে, আমাদের ক্লাউড সেবা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য খাতগুলোতে ক্লাউড-বেজড সলিউশন প্রদানের জন্যও আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
সম্প্রতি, সিঙ্গাপুরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে হুয়াওয়ে ক্লাউড এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেং জিংইয়ুন হুয়াওয়ে ক্লাউডের ২০২১ সালের দ্রুত প্রবৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং একইসঙ্গে এশিয়া-প্যাসিফিক বাজারে এর স্থানীয় সেবাসমূহের সুবিধা নিয়েও আলোচনা করেন। গত বছর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে ক্লাউডের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ১৫৬ শতাংশ এবং ইকোসিস্টেম সহযোগীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ শতাংশ। এর ফলে, হুয়াওয়ের সহযোগীদের রাজস্ব বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০ শতাংশ, যা হুয়াওয়ে ক্লাউডের রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন বলেন, হুয়াওয়ে ক্লাউড এ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করেছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে ক্লাউড ছয়টি কৌশল গ্রহণ করেছে। শিল্পখাতের কৌশলগ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা সেবা হিসেবে অবকাঠামো, সেবা হিসেবে প্রযুক্তি এবং ইকোসিস্টেম সহযোগীদের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাওয়া এর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে হুয়াওয়ে ক্লাউডের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি এগিয়ে নিতে কাজ করছি। বাজার কৌশল গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে আমরা ‘ডাইভ ইনটু ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ক্লাউড নেটিভ এবং বিজনেস ইনোভেশন, সেরা বিটুবি সার্ভিস’ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করছি।