তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) এবং অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের উদ্যোগে সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিবগণের অংশগ্রহণে গতকাল (৫ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে ‘ই-নথি’ বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন এটুআই’র যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এবং এটুআই’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মিজ নিলুফা ইয়াসমিন। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং পরিচালনা করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে কর্মকর্তাদের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা ও সক্ষমতার ওপর। বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সুপরিকল্পিত নীতির মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদেরকে তৈরি করতে পারলে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে এবং সকল কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট কোর্সটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং কাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সরকারের ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ই-নথি এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। ২০১২ সালে ই-সার্ভিস কার্যক্রম শুরু হলেও সে সময় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ততটা উন্নত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত হওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে ই-নথির কার্যক্রম প্রসারিত হয়েছে। ই-নথি থেকে এর তৃতীয় সংস্করণে ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সসহ নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এবং নথির নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি আরও সুদৃঢ় করা হবে। বর্তমানে ই-নথি ৮ হাজারের অধিক অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও খুব দ্রুত ৪৫ হাজার সরকারি অফিসে ই-নথি কার্যক্রম প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।