ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালে শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না, আমরা অনুকরণীয় হতে পেরেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে, তাতে আমরা ইতোমধ্যে যা অর্জন করেছি তার থেকে কয়েক লক্ষগুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদেরকে রোবট ব্যবস্থাপনা করতে হবে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করতে হবে, হার্ডওয়্যার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এজন্য নিজেদেরকে নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে হবে।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গত রবিবার (১২ জুন) ঢাকায় একটি হোটেলে বেসিস আয়োজিত ‘‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকা’’ এবং বেসিস শর্টকোডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জ্বালানি, বিদ্যুত ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক বক্তৃতা করেন। প্যানেল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন বেসিস ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু দাউদ খান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শুধু সফটওয়্যার রফতানিই আমাদের বাজার নয়, সকল ধরণের ডিজিটাল পণ্য ও কার্যক্রমই আমাদের বাজার। একদিন আমরা রোবটও রপ্তানি করবো। এখন আমাদের সন্তানদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আমরা তৈরি করতে পারি এমন বিদেশী সফটওয়্যার যেনো আগামীতে আর দেশে না আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমার দেশে আমার দেশের ছেলে-মেয়েদের তৈরি সফটওয়্যারই আমরা দেখতে চাই। সফটওয়্যারের সঙ্গে আইটি অ্যানাবল সার্ভিস থেকেও আমরা রপ্তানি আয় বাড়াতে চাই। আমি যন্ত্রকে কখনোই মানুষের বিকল্প হতে দেবো না। আমরা এখন সফটওয়্যারের পাশাপাশি যন্ত্রও সরবরাহ করবো।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বে আজ অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত। আমরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আমরা সবাই মিলেই আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রকে স্মার্ট করে তুলবো। আমাদের সবগুলো তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, স্বপ্নকে সক্ষমতার চেয়ে বড় করতে হবে। এটাই সফলতার মূল। এ জন্য প্রায়োরিটি ফোকাস করতে হবে। এক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির পরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে প্রযুক্তিকে। স্মার্ট হতে হলে স্মার্ট অপারিবিলিটি, ডেটা এবং আইডেন্টিফিকেশন প্লাটফর্মকে জোড়া দিয়ে একটি টেকসই আর্কিটেকচার নকশা করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না প্রযুক্তি আমাদের ভবিষ্যত।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে আমাদের শ্রম নির্ভর অর্থনীতি আজ শিল্প, সেবা ও প্রযুক্তি নির্ভরতায় রূপান্তরিত হয়েছে। সরকার আজকে নিজেই ক্রেতা হয়ে ৯৯৯, ৩৩৩, ১৬২৬৩, ১০৯, ১০৬ কলসেন্টারসহ ২০টি মন্ত্রণালয়ের কলসেন্টার করেছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ‘বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টার’ উদ্বোধন করেন। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনটির সদস্যরা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ও দ্রুততার সঙ্গে বেসিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ও সদস্যসেবা উন্নত ও কার্যকরী হয়, সেই লক্ষ্যে বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টারের জন্য বিটিআরসি অনুমোদিত শর্ট কোড ১৬৪৮৮ চালু করা হয়।