ক.বি.ডেস্ক: পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ফাইভজি প্রযুক্তি ডিজিটাল বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাদি ও অন্যান্য প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপরিহার্য এক প্রযুক্তির নাম। এই প্রযুক্তি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বংলা ও শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা সোসাইটী ৫.০-এর জন্য অপরিহার্য। আজ ১২ ডিসেম্বর দেশের ছয় এলাকায় প্রাথমিকভাবে টেলিটক ঢাকা শহরের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, ধানমণ্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া এভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি কাভারেজে আসছে।
গতকাল শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের পিআইডি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, পরীক্ষামূলক যাত্রার পর টেলিটক ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করবে। আগামী বছর মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি চালু করবে । ২০২২ সালের পর টেলিটক ও বিটিসিএলর মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনসমূহে এই সেবা চালু করার প্রস্তুতির কাজ চলছে। ফাইভজি নেটওয়ার্কে আসতে ফাইভজি হ্যান্ডসেট লাগবে। ফাইভজি সেটের দাম বেশি, এটা সত্যি কথা। ইতোমধ্যে দেশে যারা ফোনসেট উতপাদন করে তাদের বলা হয়েছে যাতে করে ফাইভজি হ্যান্ডসেট মোটামুটি মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে থাকে। ফাইভজি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত গুণগত মানের ভয়েস কল ও ফোরজি হতে বহুগুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট পাবে। এতে ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগীর রোবট সার্জারি করা যাবে। ড্রাইভারবিহীন গাড়ি চালানো যাবে, স্মার্টফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে অটোনোমাস উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে বার্সিলোনায় ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসে ফাইভ-জি ধারণাটি পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এর সরাসরি উপস্থিতিতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় এই প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ঘোষিত দূরদৃষ্টি কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করছে। আজ ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদশ দিবস এ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি সেবার উদ্বোধন করবেন।