ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরসহ সার্বিক ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা আরও প্রসারিত হবে বলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন গতকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বিদায়ী সাক্ষাত করতে এলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান, স্টার্ট আপ বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ, ইনোভেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন স্পেশালিস্ট মো. আব্দুল বারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় আইসিটি বিভাগে ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন’ এবং ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি’ নামে দুটি পৃথক প্রকল্প চলমান রয়েছে। ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে তরুণ প্রজন্ম চাকুরি খোঁজার পরিবর্তে চাকুরি সৃষ্টির প্রতি অধিক মনযোগী হবে। এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেমে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এবং দেশীয় আইসিটি শিল্পের প্রসার ঘটানো।
তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু দ্রুত নিষ্পত্তি এবং বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য বিশবব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টরকে অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে নিয়মিত সমন্বয় সভা করার জন্য পরামর্প্রদান করেন।
মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী, ফলে গ্লোবাল ইকোনমিতে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নাই। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে শিক্ষা-স্বস্থ্য-যোগাযোগ-আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশ টেক-অফ করার পর্যায়ে আছে। কোনো দেশের উন্নয়নে সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং দক্ষ জনশক্তি, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, ইনোভেটিভ আইডিয়া ও এক্সিলারেশন অত্যন্ত প্রয়োজন। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কাউকে মডেল হিসেবে নয় বাংলাদেশকেই অন্য দেশ মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে।