ক.বি.ডেস্ক: সম্প্রতি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি) ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। আইইউটির সিএসই এবং ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। দুই বিভাগের প্রায় ১৯৬ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। দুই ধাপে পরীক্ষা নেয়া হয়, প্রথমে এমসিকিউ পরীক্ষা এবং পরে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়। এর মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শীর্ষ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো ও সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান, হুয়াওয়ের, সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আইইউটির সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু রায়হান মোস্তফা কামাল এবং সহকারী অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ; হুয়াওয়ের সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ, এইচআর ম্যানেজার মো. ইফতেখাইরুল আলম শিহাব, এইচআর এক্সিকিউটিভ মো. খালিদ হোসেন।
অধ্যাপক আবু রায়হান মোস্তফা কামাল বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই শিল্পখাতে ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা পালনের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। তাদের সেই সুযোগ প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আইসিটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় জনবলের বিকাশ ঘটাতেও সাহায্য করবে। হুয়াওয়ে দীর্ঘদিন যাবত এই বিষয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে, যারা আইসিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী তাদের জন্য ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের আইডিয়া সত্যিই চমতকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
মো. ফারা নেওয়াজ বলেন, হুয়াওয়ে যেখানেই কাজ করে সেখানকার সমাজের ক্ষমতায়নে নিজেকে নিবেদিত করে। বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে বড় কিছু করার দারুণ উদ্যম রয়েছে। তরুণদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সেই উদ্যমকে উজ্জীবিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। এই ক্যাম্পের রিক্রুটমেন্টের মাধ্যমে যে সকল শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হবে তারা কানেক্টেড ও ইনটেলিজেন্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের লক্ষ্য পূরণে অবদান রাখবে।
আইইউটি’র শিক্ষার্থী সামিহা তারান্নুম বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আইসিটি খাতে হুয়াওয়ের বৈশ্বিক অবস্থান সম্পর্কে আমার বেশ ভালো ধারণা রয়েছে। সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি যে, হুয়াওয়ে বাংলাদেশে কাজের পরিবেশও অত্যন্ত চমতকার। এখানে শেখার এবং দক্ষতা বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। লক্ষ্য পূরণের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করার হুয়াওয়ের সংস্কৃতি এবং সহকর্মীদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি যদি এখানে কাজ করার সুযোগ পাই, নিঃসন্দেহে তা আমার জন্য নতুন অনেক সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।