ক.বি.ডেস্ক: গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শুরু হয়েছে অ্যাপ্রিকট ২০২২ ( এশিয়া পেসিফিক রিজিওনাল ইন্টারনেট কনফারেন্স অন অপারেশনাল টেকনোলজিস) সম্মেলন। সম্মেলনটি চলবে আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত। এবারের অ্যাপ্রিকট সম্মেলনের আয়োজক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
কর্মশালা আর সেমিনারের মাধ্যমে ইন্টারনেট অপারেশন ব্যবস্থার খুঁটিনাটি প্রকৌশলী জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় ইন্টারনেট সেবা সচল রাখা এবং ইন্টারনেট কূটনীতির মতো নীতিগত বিষয়ে আলোচনা হবে এই সেমিনারগুলোতে।
আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে দুইটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার শরফুল আলম এবং ইন্টারনেট প্রোটোকল পাইওনিয়ার জ্যাক হ্যাভাটি। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি’র পরিচালক সাকিফ আহমেদ, এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের (অ্যাপনিক) পলিসি চেয়ার এবং নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুমন আহমেদ সাবির, অ্যাপনগ বোর্ড সদস্য আফতাব সিদ্দিকী। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির সেক্রেটারী জেনারেল নাজমুল করিম ভূঞা। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ফিলিপ স্মিথ।
আগামী ০৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান। সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন আইএসপিএবির সভাপতি মো. ইমদাদুল হক।
সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি দেশের সাইবার আকাশকে নিরাপদ রাখতে সরকারি সহায়তায় ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ল্যাব তৈরি করছে আইএসপিএবি। এই ল্যাবের মাধ্যমে রাউটিং, সুইচিং এবং ডিডস আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষেত্রে প্রাযুক্তিক দক্ষতায় উত্কর্ষ সাধনে অ্যাপ্রিকট এর সঙ্গে নিয়মিত অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রকৌশলীদের মধ্যে নিয়মিত পারস্পরিক বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও চিন্তা ভাবনা ভাগ করে নিয়েই দেশে সবার জন্য ইন্টারনেট সেবাকে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে রাখতে নিজেদের প্রত্যয়ের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশগুলোর অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণার কারণেই এবারের কোভিড ১৯ অতিমারির পরিস্থিতিতেও দেশের সকল কাজই সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতারা। গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট। এই নেটওয়ার্ক সচল রাখতে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে দিন-রাত নিরবচ্ছিন্ন কাজ করেছে আইএসপিএবির সদস্যরা। তাদের কাজকে আরও দক্ষ করতে আমাদের প্রাযুক্তিক প্রকৌশল দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কিছু নীতিগত বিষয় নিয়েও কাজ করতে হবে। অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা ইন্টারনেট এর সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারবো।
সম্মেলনের পাঁচ দিনব্যপী কর্মশালায় এসডিওয়ান, ডিডিস, সেগম্যান্ট রাউটিং এবং ইন্টারনেট সিকিউরিটির ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত প্রকৌশলীগন প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেছেন ৯৭টি দেশের সদস্যবৃন্দ।