প্রচারণা ডটকম : ২০১৮ সালে প্রণীত ‘‘ওয়ারেন্টি নীতিমালা’’ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস)। বিসিএস সদস্যবৃন্দ এবং স্টেকহোল্ডাররা এ সময় ওয়ারেন্টি নীতিমালায় সংযোজন, বিয়োজন, নতুন পণ্যের ক্ষেত্রে করণীয় এবং বিক্রেতা ও ক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে কী কী ভূমিকা নেয়া যায় এ বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। প্রযুক্তি পণ্যে নতুন যেসব পণ্য যুক্ত হয়েছে সেসব পণ্যের বিক্রয়োত্তর সেবার ব্যাপারেও নীতিমালায় নির্দেশনা থাকবে বলে জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার (২৪ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ওয়ারেন্টি নীতিমালা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, সহ-সভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হেলালী, পরিচালক ও ওয়ারেন্টি নীতিমালা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ বিসিএস সদস্যবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া।
ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, ২০১৮ সালে আমি সভাপতি হয়ে আসার পর বর্তমান যে ওয়ারেন্টি নীতিমালা রয়েছে তা প্রণয়ন করি। আমরা তখন থেকেই এমআরপি এবং ওয়ারেন্টি নীতিমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা চলমান রেখেছি। ওয়ারেন্টি নীতিমালায় শুধু যে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা হয়, এমনটা নয়। একই সঙ্গে এই নীতিমালা পণ্য বিক্রেতা, আমদানিকারক, ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার থেকে শুরু করে সবার স্বার্থই সংরক্ষণ করে। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সমাধানের অন্যতম মাধ্যম ওয়ারেন্টি নীতিমালা।
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের জানতে হবে ওয়ারেন্টি নীতিমালায় কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে পথ নির্দেশিকা দেয়া আছে। প্রয়োজনে ক্রেতাদের বিক্রয়োত্তর সেবার বিষয়ে স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে। প্রত্যেকটি প্রযুক্তি পণ্যের নির্দিষ্ট ব্যবহার সীমা রয়েছে। সুতরাং কোন গ্রাহক পণ্য কেনার পর ২০ মাস ব্যবহার করলে এই সময়ের মধ্যে তিনি প্রযুক্তি পণ্য দ্বারা উপকৃত হয়েছেন বলে ধরে নেয়া হবে। তাই পণ্যের বিক্রয়োত্তর সেবাতেও এই সময়গুলো গণনায় থাকবে। বিসিএস ওয়ারেন্টি নীতিমালা নিয়ে আগেও কাজ করেছে। প্রযুক্তি পণ্যে নিত্যনতুন পণ্য যুক্ত হচ্ছে। এবারের নীতিমালা হালনাগাদে আমরা সময়োপযোগী পণ্যের পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রযুক্তি পণ্যেও কী ধরণের বিক্রয়োত্তর সেবা বিক্রেতা প্রদান করবেন সে ব্যাপারেও নির্দেশনা যুক্ত করবো। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় পণ্য বিক্রেতাকে ওয়ারেন্টি নীতিমালা নিজেকে জানতে হবে এবং অন্যকে জানানোর প্রচেষ্টা রাখতে হবে। সকলের সহযোগীতায় আমরা ক্রেতা বান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে সক্ষম হবো বলেই আমার বিশ্বাস।