বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর গেমস, এক্সআর এবং এনএফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এবং ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (ডিআইইউ) এর মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি (এমসিটি) বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে ‘‘স্টেট অব গেমিং অ্যান্ড মেটাভার্স ইন্ডাস্ট্রি অন বাংলাদেশ’’ শীর্ষক সিরিজ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে এ খাতে বিশেষজ্ঞরা গেমস, এক্সআর এবং নন-ফাঞ্জিবল টোকেন (এনএফটি)সম্পর্কিত তাদের জ্ঞান, সাফল্যের গল্প এবং কেস স্টাডি শ্রোতাদের সঙ্গে তুলে ধরেন।
গতকাল রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ডিআইইউ’র আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হল আশুলিয়ায় অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ডিআইইউ’র সায়েন্স অ্যান্ড ইনফোরমেশন টেকনোলজি বিভাগের ডীন ড. মোহাম্মদ ফখরে হোসেন। বক্তব্য রাখেন বেসিস পরিচালক তানভীর হোসেন খান, বেসিসর গেমস, এক্সআর এবং এনএফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. সানজার আদনান, ডিআইইউ’র এমসিটি বিভাগের প্রধান শাইখ মোহাম্মাদ আল্লায়ার। এ সময় বেসিস সদস্য সচিব তৌফিক এলাহী প্লাবন উপস্থিত ছিলেন।
তানভীর হোসেন খান এক্সআর এবং মেটাভার্স ইন্ডাস্ট্রির ওপর কেস স্টাডি উপস্থাপন করেন। এক্সআর এবং মেটাভার্স ইন্ডাস্ট্রি বিশ্বব্যাপী চাহিদার তথ্য তুলে ধরেন এবং এখাতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। ভার্চুয়াল অ্যাভাটার এবং মেটা হিউম্যানের ব্যবহার সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বেসিসের গেমস, এক্সআর এবং এনএফটি নিয়ে গ্রহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ ২০২২ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আহ্বান জানান এবং নভেম্বর ২৩-২৬ অনুষ্ঠিত বেসিস সফটএক্সপোতে ভিজিট করার জন্যে আমন্ত্রণ জানান।
মো. সানজার আদনান বলেন, স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে গেমস, এক্সআর এবং এনএফটির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের দক্ষ জনবল খুব সীমিত। বৈশ্বিক বাজারের এখাতের চাহিদা থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে।
মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ (চেয়ারম্যান বাংলা পাজল লিমিটেড), কেস স্টাডির মাধ্যমে mojargames.com এর ইনস্ট্যান্ট গেমিং পোর্টাল সম্পর্কে তুলে ধরেন। ইনস্ট্যান্ট গেমিং পোর্টালের স্থানীয় বাজারের চাহিদা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। পাশাপাশি mojargames.com নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং দক্ষ জনবলের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন।
মো শাহরিয়ার মোবাশ্বির (সিইও অ্যাঙ্গুলার ই-স্পোর্টস লিমিটেড), ই-স্পোর্টস কি, কিভাবে কাজ করে এবং বিশ্বব্যাপী ই-স্পোর্টস চাহিদা তুলে ধরেন। পাশাপাশি অ্যাঙ্গুলার ই-স্পোর্টস লিমিটেড কিভাবে ই-স্পোর্টস শিল্পে অবদান রাখে তা আলোচনা করেন।
নিরবাস আব্দুল্লাহ করিম (এনএফটি এন্থুজিয়াস), তিনি তার বক্তব্যে নন-ফাঞ্জিবল টোকেন (এনএফটি) এবং Web3 সম্পর্কে তুলে ধরেন। এনএফটি এবং স্মার্ট চুক্তির পরিচিতি, এনএফটির উপযোগিতা, SAAS লাইসেন্স হিসাবে এনএফটির বাস্তব জীবনে ব্যবহার এবং বাংলাদেশে এনএফটির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।