Thursday, December 26, 2024
More

    সর্বশেষ

    মাইগভ প্লাটফর্ম ব্যবহার করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

    সরকারের ‘মাইগভ’ প্ল্যাটফর্মের আওতায় র‍্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ভার্চুয়ালভাবে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনা‌ইদ আহ্‌মেদ পলক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই’র চীফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আরফে এলাহী।  

    মাইগভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেবাগ্রহীতাগণ নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্তকরণ,মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তি, মুক্তিযোদ্ধা সনদের তথ্য সংশোধনসহ প্রায় সকল বিষয়ে অত্যন্ত সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদন, সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট,অগ্রগতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম সেবাগ্রহীতা ৫টি এক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারবেন। এর ফলে সেবাগ্রহীতা ও প্রদানকারী উভয়ের সময় ও অর্থের অপচয় কমে আসবে।

    ‘মাইগভ’-এর মাধ্যমে কোন নতুন সফটওয়্যার তৈরি ছাড়াই মাত্র এক মাসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা হয়েছে। মাইগভ নামক ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবাসমূহকে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা সম্ভব। জনগণের দোরগোড়ায় সকল প্রকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে  সংশ্লিষ্ট সকল সেবাসমূহকে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মাইগভ প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং কষ্ট করে আর সেবার জন্য ঘুরতে হবে না।

    জুনা‌ইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে দুর্নীতি দূর হবে এবং সেবার মান বাড়বে। ইতিপূর্বে সব মন্ত্রণালয় মিলে প্রায় ১৭৮টি সেবা ডিজিটাল হয়েছে। আজকে একটি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৩৮টি সেবা যুক্ত হতে চলেছে। ইতোমধ্যে ৬০০ সার্ভিস ডিজিটালাইজ হয়েছে। আরও ২ হাজার ২০০ সেবা আমরা ২০২১ সালের মধ্যে চালু করতে চাই।

    অনুষ্ঠানে এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, এটুআই’র যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যুগ্মসচিব দেওয়ান মো. আব্দুস সামাদ, এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরীসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়,আইসিটি বিভাগ, এটুআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.