বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নৌযানগুলো। এরই মধ্যে ৬৫ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মাছ ধরা নৌযানগুলোর ওপর নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক বখতিয়ার উদ্দিন জানান, বর্তমানে দেশের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের নৌযানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জাপানি এক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে ছয় ঘণ্টা অন্তর শুধু নৌযানের অবস্থানের তথ্য পাওয়া যায় এবং এর জন্য একটি নৌযান বাবদ প্রতিদিনের ব্যয় প্রায় ১৬০ ডলার। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এবার পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এতে অল্প খরচে সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী জাহাজ মালিকরা সার্বক্ষণিকভাবে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছর জানুয়ারি থেকে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়। ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে একটি স্থল স্যাটেলাইট ব্যবস্থার নিজস্ব বেসস্টেশন স্থাপন করা হবে মৎস্য বিভাগের জন্য। এই স্টেশন থেকেই নৌযানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। সমুদ্র সম্পর্কিত অন্যান্য বিভাগ ও দপ্তরও জেসিসিতে সম্পৃক্ত থাকবে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে সাতটিসহ সারা দেশে ১৬টি নিজস্ব বেসস্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নৌযানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। সমুদ্রে নৌযানগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা এবং দুর্ঘটনার শিকার হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ সহজ হবে। চলতি বছরই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর আশা করা হচ্ছে।