করোনা যুদ্ধে সহায় সুপারকম্পিউটার ও প্রযুক্তি

0
86

টেকইকম ডেক্স: করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের অন্যতম বড় সহায় হতে পারে সুপারকম্পিউটার। আজকের দিনের সুপারকম্পিউটার আজ থেকে দশ বছর আগের সুপারকম্পিউটারের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাই সুপারকম্পিউটারের শক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে উন্নত দেশগুলোতে। কোভিড-১৯-এর স্পাইক প্রোটিন সিম্যুলেশন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রান করে এর গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আজ আমাদের হাতে যে সুপারকম্পিটার আছে, অদূর ভবিষ্যতে তার চেয়েও দ্রুতগতির, এক্সাস্কেল পর্যায়ে কাজ করে এমন সুপারকম্পিউটার আমাদের হাতে আসবে। এছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকািসন উদ্ভাবনেও কাজে লাগানো যাবে সুপারকম্পিউটারকে।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সম্ভাবনার কথাও ভোলা যাবে না। বর্তমানে আমরা যেখানে যে যার ঘরে বন্দি হয়ে আছি সেখানে ভিডিও কল অ্যাপ্লিকেশনগুলো আমাদের নানাভাবে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা অন্যদের থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন বা নিঃসঙ্গ অবস্থায় আছেন তাদের। বর্তমানে অনেকেই নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল হ্যাংআউট, ডুয়ো, ওয়েবেক্স আর জুম-এর মতো ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলো। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্যানডেমিক শুরু হওয়ার পর এসব অ্যাপ ডাউনলোডের হার অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে একেক দিন ৬ লাখ বার করে ডাউনলোড হচ্ছে এসব অ্যাপ। প্যানডেমিক শুরু হওয়ার পর ফেসবুকের মেসেঞ্জারের ব্যবহার ৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কর্মীদের মিটিংয়ের জন্য যেমন এসব টুল ব্যবহার করা হচ্ছে তেমনি শিক্ষা ও মানসম্পদ উন্নয়নমূলক কাজেও এগুলোর ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। এদিকে কর্মশালা, জন্মদিন উদযাপন, ভার্চুয়াল গেট টুগেদার, এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্যও এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ছবি ইন্টারনেট থেকে

সবশেষে বলি লোকেশন ও কনটাক্ট ট্রেসিংয়ের কথা। গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, ডিজিটাল কনটাক্ট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি ট্র্যাকিং করা যাচ্ছে। এছাড়াও কেউ কোনো করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে সম্প্রতি এসেছিলেন কিনা সেটিও তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দিচ্ছে এসব অ্যাপ। এরপর তাদেরকে বলা হচ্ছে দ্রুত সেলফ আইসোলেশনে চলে যেতে। এছাড়া আশেপাশের দোকানপাটসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার লোকেশনও তারা জানতে পারছেন এসব অ্যাপ ব্যবহার করে। এছাড়াও হাতের কাছে চিকিৎসালয়, স্বাস্থ্যকর্মীসহ নানা সেবা প্রাপ্তিতেও সাহায্য করতে পারে লোকেশন ট্র্যাকার।

জানা গেছে, টেক জায়ান্ট অ্যাপল আর গুগল মিলে এমন একটি উদ্যোগ নিচ্ছে যাতে তাদের ব্যবহারকারীরা শর্ট রেঞ্জ ব্লুটুথ কমিউনিকেশন ব্যবহার করে একটি ভলান্টারি কনটাক্ট ট্রেসিং নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারবে। ব্যবহারকারীদের ফোনের তথ্য উপাত্তকে ব্যবহার করে জনস্বাস্থ্য কর্মীরা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ সম্বন্ধে জানতে পারবেন। এই সিস্টেম থেকে ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে তাঁরা সম্প্রতি সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে