দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা হাই-টেক পার্কগুলো তরুন প্রজন্মের স্বপ্নের ঠিকানা। বর্তমানে দেশে ৩৯টি হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার পার্ক এবং ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। আইটি সেক্টরে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে দেশের ৬৪টি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ১৯টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে এই হাই-টেক পার্কগুলো অনুপ্রেরণার নাম। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন পার্কসমূহের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একথা বলেন।
সম্প্রতি একটি মহল ডিজিটাল বিনির্মাণে সম্মুখভাগ থেকে নেতৃত্বপ্রদানকারী এই প্রতিষ্ঠানটির অর্জনকে ম্লান করে দেয়ার অপচেষ্টা করছে বলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সরকার সবসময় বিনিয়োগকারীদের পাশে ছিলো, আছে এবং থাকবে। বিনিয়োগকারীগণকে দ্রুত ও সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীগণকে অতি সহজে, অল্প সময়ে ও কম খরচে সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমানে মোট ১৪৮টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে যার মধ্যে ২০টি সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে।
কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাই-টেক পার্ক। ৩৫৫ একর জমিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে বর্তমানে ৩৭টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৫টি কোম্পানি উতপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন এসেম্বলিং ও উতপাদন, অপটিকাল কেবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা-সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। ইতোমধ্যে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং প্রায় ১৩০০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
প্রায় ১২ একর জায়গা নিয়ে একসময়ের অবহেলিত যশোরে নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বমানের সফটওয়্যার পার্ক। শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মাত্র তিন বছরে পার্কটিতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। রাজশাহীতে প্রায় ৩১ একর জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠছে। হাই-টেক পার্কগুলোতে দক্ষ মানবসম্পদ এর চাহিদা পূরণে রাজশাহী ও নাটোরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে এবং দেশের আরও ১০টি স্থানে চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলায় ট্রেনিং কাম ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
বর্তমান সরকার সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করবে। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি উন্নয়নের এই অভিযাত্রাকে কোনোভাবে ব্যাহত করতে পারবে না বলে মনে করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।