ক.বি.ডেস্ক: ইজেনারেশন আইসিটি বিভাগের ‘ধ্বনি’ সফটওয়্যারটি বাস্তবায়ন করেছে। এই সফটওয়্যারটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিংয়ের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে বাংলা ভাষাকে ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক অ্যালফাবেট বা আইপিএ-তে রূপান্তর করতে পারে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গতকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সফটওয়ারটি উদ্বোধন করেন।
আইপিএ বা ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক অ্যালফাবেট হল আন্তর্জাতিক ধ্বনিভিক্তিক লিপ্যন্তরকরণ পদ্ধতি বা আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি। যার উদ্দেশ্য হল বিশ্বের সব ভাষার সব ধ্বনিকে এক লিপিতে প্রমিতভাবে উপস্থাপন করা। ধ্বনি সফটওয়্যারটি বাংলা থেকে আইপিএ-তে রূপান্তরের সেই কাজটিই করবে।
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তাতক্ষণিক স্বয়ংক্রিয় কথ্য থেকে কথ্য রূপান্তরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত রিসোর্সের প্রয়োজন হয়। ইজেনারেশনের এআই, মেশিন লার্নিং এবং এনএলপি টিম বিগত কয়েক বছর ধরে কথ্য থেকে কথ্য, লেখ্য থেকে কথ্য এবং কথ্য থেকে লেখ্য এই সকল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নেতৃস্থানীয় ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করা। বিশেষ করে বাংলা ভাষার ডিজিটাইজেশন নিশ্চিত করা। ধ্বনি এর মাধ্যমে পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষী যেমন উপকৃত হবে, তেমনি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সদস্য ও বাক-দৃষ্টি-শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও এর সুফল পাবে।
ইজেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিংয়ের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইজেনারেশন।
ইজেনারেশনের এআই এবং এনএলপি বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. নূরুল হুদা বলেন, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যে ছিল যাতে দেশি-বিদেশি সকলে বাংলাকে শুদ্ধ উচ্চারণে পড়তে পারে। এই প্রকল্পটির সফল সম্পাদন ইজেনারেশনের বাংলা ভাষা প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা আরও একধাপ এগিয়ে নিল।