রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনাবসানের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন রাজা হয়েছেন তার বড় ছেলে প্রিন্স চার্লস। নিয়ম অনুযায়ী চার্লসই এখন ইংল্যান্ড এবং ১৫টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করার সময়ই রাজ পরিবার থেকে করা টুইটে চার্লসকে রাজা এবং ক্যামিলাকে ‘দ্য কুইন কনসোর্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়।
মাত্র তিন বছর বয়সে ১৯৫২ সালে চার্লস ইংল্যান্ডের যুবরাজ হয়েছিলেন এবং তিনি ব্রিটিশ সিংহাসনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে যুবরাজ ছিলেন। এখন প্রিন্স চার্লসের উপাধি ‘প্রিন্স অব ওয়ালেশ’ এখন যাবে তার বড় ছেলে উইলিয়ামের কাছে।
৭৩ বছর বয়সী চালর্স রাজা হিসেবে এখন নিজের জন্য যেকোনো নাম বেছে নিতে পারবেন। যেমন রাজা জর্জ পঞ্চমের আসল নাম ছিল অ্যাবার্ট। এর আগে দুইজন ব্রিটিশ রাজা চার্লস নাম নিয়েছিলেন।
বয়সের কারণে রানি এলিজাবেথ দুর্বল হয়ে পড়ায় চার্লস আগে থেকেই বেশকিছু দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দেয়া বার্তায় চার্লস বলেন, এটা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য সবচেয়ে দুঃখের মুহূর্ত।
এদিকে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে দেশটির নতুন রাজা তার ছেলে ও সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস। শিগগিরই শোকহত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তৃতা দেবেন।
ব্রিটেনকে সবচেয়ে বেশি সময় শাসন করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার শাসনকাল ছিল ৭০ বছর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে তার মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে বালমোরালে শান্তিতে মারা গেছেন ব্রিটিশ রানি।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডসহ আরও ১৪টি রাষ্ট্রের প্রধান হলেন ব্রিটিশ রাজা ৭৩ বছর বয়সী চার্লস। মায়ের মৃত্যুর সময় তিনি পাশেই ছিলেন।
এর আগে দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসক উদ্বেগ প্রকাশ করলে তার পাশে অবস্থান করতে বালমোরাল প্রাসাদে চলে যায় পরিবার। গেল বছরের শেষ দিক থেকে তিনি এপিসোডিক মোবিলিটি প্রবলেমসে ভুগছিলেন।
যে কারণে সব ধরনের রাজকীয় কর্মকাণ্ড থেকে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তিনি ব্রিটিনের সিংহাসনে বসেন। তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর।
মেইল অনলাইনের খবর বলছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চলতি বছরে তার সিংহাসনের আরোহনের রজতজয়ন্তী পালন করা হয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিলে তার স্বামী ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর থেকেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। বিভিন্ন রাজকীয় কার্যক্রম থেকেও নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন তিনি।