বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনে শাড়ি বেছে নেন কমবেশি সব নারীই। নারী ও শাড়ির সম্পর্ক চিরকালীন। শাড়ি গায়ে জড়ালে সব নারীই হয়ে ওঠেন অনন্যা। বিভিন্ন উৎসব কিংবা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে শাড়ি কেনেন অনেক নারীই। বিয়ে, ঈদসহ দুর্গাপূজার আগ দিয়ে শাড়ি কেনার ধুম পড়ে যায়।
সামনেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা আসছে। এখন অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কেনাকাটায়। পূজায় শাড়ি না হলে কি চলে! দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে অনেকেই শাড়ি কেনেন। আপনিও যদি এবারের পূজায় পছন্দের শাড়িটি পরতে চান তাহলে নতুন শাড়ি কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। তাহলে সহজে ঠকবেন না। জেনে নিন করণীয়-
প্রথমেই দেখে নিন এ বছর কোন ধরনের শাড়ি আছে ট্রেন্ডিংয়ে? হাল ফ্যাশনে কোন শাড়ির চাহিদা বেশি তা জেনে তবেই কিনউন আপনার পছন্দের শাড়ি।
আপনি যে শাড়িটি কিনতে চাচ্ছেন সেটির কতটা যত্ন নিতে পারবেন তা আগে থেকেই বুঝে নিন। যদি শাড়িটির যত্ন নেওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে তাহলে সেটি কিনবেন না।
হাল ফ্যাশনে ঠিক কোন রঙের শাড়িগুলোর চাহিদা বেশি তা বুঝুন আগে। আবার সেই রং আপনার কতটা পছন্দ ও তা গায়ে জড়ালে আপনাকে কতটা মানাবে তা ভেবে তবেই শাড়ি কিনুন।
শাড়ি কেনার সময় অবশ্যই এর গুণগত মান যাচাই করতে হবে। সিল্কের ক্ষেত্রে ঠকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কমদামি সিল্কের শাড়িও চড়া দামে বিক্রির চেষ্টা করেন বিক্রেতারা। তাই দাম দিয়ে কেনার আগে কোয়ালিটি বুঝে নেওয়া আবশ্যক। সেক্ষেত্রে ব্র্যান্ডেড শাড়িতে ভরসা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
যদি তসর, কাঞ্জিভরম, জামদানি কিংবা চিকনের শাড়ি থাকে আপনার কেনাকাটির তালিকায় তাহলে আসল-নকলের ফারাক জেনে তবেই কিনুন।
জামদানি বা কাঞ্জিভরম আসল কি না বোঝার সহজ উপায় হলো ওজন। ভার দেখেই বুঝতে পারবেন তা আসল নাকি নকল। কাঞ্জিভরম শাড়ি বেশ ভারি হয়।
আবার মসলিন কিনতে হলে তার মসৃণতা দেখে নিন। একেবারে ফুরফুরে পাতলা হয় আসল মসলিনের শাড়ি।
শাড়ি কেনার আগে এসব কৌশল মাথায় রাখলে আর আপনাকে ঠকতে হবে না।