Sunday, December 22, 2024
More

    সর্বশেষ

    অপুস্পক উদ্ভিদ

    অপুস্পক উদ্ভিদ
    Cryptogamae

    যে সকল উদ্ভিদের ফুল হয় না। তাদের সাধারণ নাম অপুষ্পক উদ্ভিদ। উল্লেখ্য, বেন্থাম এবং হুকার উদ্ভিদজগতকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। এই ভাগ দুটি হলো অপুষ্পক উদ্ভিদ ও সপুষ্পক উদ্ভিদ।

    অপুস্পক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য:
    এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ফুল ও ফল হয় না। এদের বংশ বিস্তার ঘটে রেণুর (spore) মাধ্যমে। প্রজাতিভেদে মূল, কাণ্ড ও পাতার উপস্থিতির হেরফের লক্ষ্য করা যায় না। এরা আকার-আকৃতিতে ছোট ও নরম হয়। প্রজাতিভেদে এদের দেহে ক্লোরোফিলের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই কারণে এরা স্বভোজী বা পরভোজী হতে পারে।

    অপুষ্পক উদ্ভিদকে তিনটি ভাগ করা হয়েছিল। ভাগ তিনটি হলো- এই জাতীয় উদ্ভিদের

    • সমাঙ্গবর্গ (Thallophyta): এই জাতীয় উদ্ভিদের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতাকে পৃথকভাবে শনাক্ত করা যায় না। প্রজাতিভেদে এরা জলজ, অর্ধজলজ বা স্যাঁতস্যাঁতে স্থলভূমিতে জন্মে। এদের জননাঙ্গ এককোষী। এই জননাঙ্গের চারদিকে বন্ধ্যাকোষ থাকে না। এরা অঙ্গজ, অযৌন, যৌন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করে। এদের জীবনচক্রে ভ্রূণ হয় না। এদের দেহে কোনো পরিবহনতন্ত্র নেই। এই জাতীয় উদ্ভিদের দেহে ক্লোরোফিল থাকা না থাকার উপর ভিত্তি করে, দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো-
      • শৈবাল: এদের দেহে ক্লোরোফিল আছে।
      • ছত্রাক: এদের দেহে ক্লোরোফিল  নাই।
    • মসবর্গ (Bryophyta): এই জাতীয় উদ্ভিদের দেহে  কাণ্ড ও পাতাকে পৃথকভাবে শনাক্ত করা যায়। আর সুগঠিত মূলের পরিবর্তে মূলরোম থাকে। মূলরোম দিয়ে গঠিত দেহাঙ্গকে বলা হয় রাইজয়েড। এদের জননাঙ্গ বহুকোষী। এদের ভ্রূণ উৎপন্ন হয়। এদের জননাঙ্গ বন্ধ্যা এবং কোষ প্রাচীর দিয়ে আবৃত থাকে।
    • ফার্নবর্গ (Pteridophyta): এই জাতীয় উদ্ভিদের দেহে মূল, কাণ্ড ও পাতাকে পৃথকভাবে শনাক্ত করা যায়। এদের জীবনচক্রে ভ্রূণ হয়। এদের জননাঙ্গ বন্ধ্যা এবং কোষস্তর দিয়ে আবৃত। এদের দেহ পরিবহনতন্ত্র আছে।
       

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.