Thursday, November 21, 2024
More

    সর্বশেষ

    দূর্গার কেন দশ হাত?

    শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা। অনেকেই ঘুরে ঘুরে আশপাশের পূজা মন্ডপগুলোতে যাচ্ছো। দূর্গাপূজাটি যাকে ঘিরে আবর্তিত হয় তার নাম দেবী দূর্গা। দূর্গার রয়েছে দশটি হাত। সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, দূর্গার সৃষ্টি হয়েছে দেবগণকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য। দেবগণের সমবেত শক্তির প্রতীক হলেন দেবী দূর্গা। দূর্গার অনেক নামের মধ্যে একটি হচ্ছে শ্রী শ্রী চন্ডী। এই শ্রী শ্রী চন্ডীর মার্কন্ডেয় পুরানের অর্ন্তগত। এতে তিনটি চরিত্র আছে।

    প্রথমটিতে শ্রী ম্রী চন্ডী মধু-কৈটভ নামের দুই অসুর বধ করেন। দ্বিতীয়টিতে মহিষাসুর বধ করেন। তৃতীয়টিতে শুম্ব ও নিশুম্ভ নামের দুই অসুরকে বধ করেন। ব্রহ্মার বরে শক্তিশালী মহিষাসুর স্বর্গ, মর্ত ও পাতাল জয় করে তিন লোকে অসুরের রাজত্ব স্থাপন করলে দেবগণ ও পৃথিবীর মানুষেরা দুর্দশায় পতিত হন। অসুরেরা এসময় মানুষের সব পূজা অর্চনা বন্ধ করে দেয়। আর স্বর্গের দেবতারা অসুরদের কাছে পরাজিত হয়ে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হন। এসময় দেবতারা বিষনু-মহাদেব ও ব্রহ্মার শরনাপন্ন হন। ত্রিদেব ও অন্যসকল দেবতাদের তেজ থেকে যে দেবীর সৃষ্টি হয় তিনিই হলেন দেবী দূর্গা। দু-হাতে সকল অস্ত্র ধরা সম্ভব নয় বলে দেবীকে দশ হাত ধারন করতে হয়েছে।
    সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমী নামে পরিচিত। আশ্চিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নের অমাবস্যার নাম মহালয়া

    আবার দুর্গার দশ হাত দশ দিক রক্ষা করারও প্রতীক। দশ দিক হল পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঈশাণ, বায়ু, অগ্নি, ণৈরত, ঊধ্ব এবং অধঃ। এই দশ প্রহরণ নিয়ে প্রতি আক্রমন করছে মহিষাসুরকে। অনেকে বলেন মানবজাতির সকল অশুভ বিনাশ করার জন্যই তিনি দশ প্রহর ধারিনী।

    দূর্গার সঙ্গে যারা
    ০ দুর্গার বাহন সিংহ। শ্রীশ্রীচণ্ডী-তে সিংহকে মহাসিংহ, বাহনকেশরী, ধূতসট ইত্যাদি বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছে।
    ০ মহিষাসুর অসুর, দেবদ্রোহী। তাই দেবী দূর্গার পদতলে দলিত এই অসুর ‘সু’ এবং ‘কু’-এর মধ্যকার দ্বন্দের অশুভ শক্তির উপর শুভশক্তির বিজয়ের প্রতীক।
    ০ গণেশ কার্যসিদ্ধির দেবতা। হিন্দু পুরাণের নিয়ম অনুসারে, অন্যান্য দেবতার আগে গণেশের পূজা করতে হয়। গণেশের পূজা আগে না করে অন্য কোনো দেবতার পূজা করা শাস্ত্রে নিষিদ্ধ।
    ০ গণেশের বাহন মূষিক বা ইঁদুর।
    ০ লক্ষ্মী শ্রী, সমৃদ্ধি, বিকাশ ও অভ্যূদয়ের প্রতীক। শুধু ধন নয়, লক্ষ্মী চরিত্রধনেরও প্রতীক।
    ০ লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা।
    ০ সরস্বতী বাণী রুপিণী বাগদেবী; তিনি জ্ঞানশক্তির প্রতীক।
    ০ সরস্বতীর বাহন হংস।
    ০ দেবসেনাপতি কার্তিক সৌন্দর্য ও শৌর্যবীর্যের প্রতীক।
    ০ কার্তিকের বাহন ময়ুর।
    ০ দেবী দূর্গা ত্রি-নয়না বলে তাঁকে ‘ত্রৈম্বক্যে’ বলা হয়। তাঁর বাম চোখ হলো বাসনা (চন্দ্র), ডান চোখ কর্ম (সূর্য) ও মাঝখানের চোখ হলো জ্ঞান (অগ্নি)।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.