দেশের আইসিটি খাতের বাণিজ্যিক সংগঠন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) ২০২২-২০২৪ মেয়াদকালের দ্বিবার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি (ইসি) এবং ৮টি শাখা কমিটির নির্বাচন আজ বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) প্রাঙ্গনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজই নির্বাচনের ফলাফল ও পদ বন্টনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৪২২ জন। ভোটারদের স্বাচ্ছন্দ্যে গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট প্রদানের জন্য সকল ধরনের আয়োজন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে বিসিএস নির্বাচন বোর্ড।
বিসিএস’র ২০২২-২০২৪ মেয়াদকালের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ৭টি পদে ১৪জন প্রার্থী দুটি প্যানেলে সমমনা এবং মেম্বারস ভয়েস নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পাশাপাশি বরিশাল শাখা কমিটিতে ১৪জন, চট্টগ্রামে ৯জন, কুমিল্লায় ৭জন, যশোরে ১৬জন, খুলনায় ১৪জন, ময়মনসিংহে ৭জন, রাজশাহীতে ৭জন এবং সিলেট শাখায় ১৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন সিপ্রোকো কমপিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফকাত হায়দার এবং সদস্যদ্বয় হলেন দি কমপিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আতিক-ই-রব্বানী ও ওরা-টেক কনসাল্টিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ কবীর আহমেদ। অ্যাপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন ডিজিটাল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক এবং সদস্যদ্বয় হলেন কমপিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমলুক সাবির আহমেদ ও ট্রেসার ইলেকট্রোকমের প্রধান কার্যনির্বাহী আবুল কালাম আজাদ।
সমমনা
প্যানেল প্রধান হলেন স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম; ওরিয়েন্ট কমপিউটার্সের স্বত্বাধিকারী জাবেদুর রহমান শাহীন; কমপিউটার সিটি অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম; স্পিড টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুমন; কমপিউটার পয়েন্টের স্বত্বাধিকারী মো. ইউসুফ আলি শামীম; পেরিনিয়াল ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী মজহার ইমাম চৌধুরি (পিনু চৌধুরি) এবং ওয়েলকিন কমপিউটার্সের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম হাজারি।
মেম্বারস ভয়েস
প্যানেল প্রধান হলেন সিঅ্যান্ডসি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার; সাউথ বাংলা কমপিউটার্সের স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া; স্টার টেক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাশেদ আলি ভূঁইয়া; টেক হিলের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন; মাইক্রোসান সিস্টেমসের স্বত্বাধিকারী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান; পিসি গার্ডেনের স্বত্বাধিকারী মো. আহসানুল ইসলাম( নওশাদ) এবং গোল্ডেন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল বিডির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হেলালী।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত যারা
নির্বাচনে ৮টি শাখা কমিটির মধ্যে ৩টি শাখা কমিটির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। শাখা কমটিগুলো হলো- রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা। এসব শাখায় সাতটি পদের বিপরীতে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত।
বিসিএস রাজশাহী শাখা: সেল কমপিউটার্সের এস এম মুশফিক-উস-সালেহিন; কমপিউটার প্যালেসের সাইদ আব্দুল ময়েজ ডলার; সাইবার জোন কমপিউটারের মো. সাজ্জাদ হোসেইন; জে এস কমপিউটারের মো. জাহিদুল ইসলাম জিম; স্টার কমপিউটার টেকনোলজির মো. খাইরুল ইসলাম; টেকল্যাবের মো. আবুল ফজল কাশেমী এবং টাচ কমপিউটারের মো. নজরুল ইসলাম।
বিসিএস ময়মনসিংহ শাখা: আরাফ কমপিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশনের আহমাদ মুস্তাফা খালেদ (খালেদ); ক্যামেরা ঘরের মোতালেব দরবারি; জে কে কমপিউটার্সের মো. জামাল হোসেইন; মিডল্যান্ড কমপিউটারের মো. জহির উল্লাহ; রাইসা আইটি সলিউশন্সের রাইসুল ইসলাম জনি; রিজেন্সি টেকনোলজিসের রাতুল ইসলাম রাহাত এবং সাকসেস কমপিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেইন।
বিসিএস কুমিল্লা শাখা: জি-টেক কমপিউটারের মো. ফেরদাউস সায়েম ভূঁইয়া; জেবি কমপিউটারের এম এ বাতেন; জয় কমপিউটার অ্যান্ড অ্যাকসেসোরিজের অজয় কৃষ্ণ সাহা; রিলায়েন্স পিসির মোফাজ্জল হায়দার মজুমদার; স্কাই নেটের শাখাওয়াত হোসেইন (মানিক); সফট লিঙ্ক প্লাসের মো. সফিউল্লাহ এবং সফটলিঙ্ক কমপিউটার অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়ার মো. ফরহাদ উল্লাহ।
অন্যদিকে বরিশাল শাখায় ১৪ জন; চট্টগ্রাম শাখায় ৯ জন; যশোর শাখায় ১৬ জন; খুলনা শাখায় ১৪ জন এবং সিলেট শাখায় ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
বিসিএস বরিশাল শাখা: আর্ক কমপিউটার সিস্টেমসের সাইদ মো. রইস উদ্দিন; রবিশাল কমপিউটার্সের মো. খোরশেদ আলম; ডেনকো কমপিউটার্সের মো. খলিলুর রহমান; আইডিয়াল কমপিউটার সিস্টেমসের শাহ বোরহান উদ্দিন আহমেদ; ল্যাপটপ কেয়ারের মো. জহিরুল ইসলাম; এ এম কমপিউটার বরিশালের সাফুর রহমান; মর্ডান কমপিউটারের মো. আকমল হোসেন; নেক্সাস আইটি কমপিউটারের মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম; প্রভাতি কর্নারের মো. সফিউল করিম; শির্ষবিন্দু কমপিউটার সিস্টেমের মো. এনামুল হক খান; স্পার্ক কমপিউার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের মো. আব্দুল্লাহ আল ফরিদ; স্পিড সলিউশনের মাসুক কামাল; ভারটেক্স টেকনোলজির মোহাম্মদ ইমরান হোসেইন এবং ঝলক কমপিউটার সলিউশনের জাহিদহাসান।
বিসিএস চট্টগ্রাম শাখা: কমপিউটার হ্যাভেনের মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন; জুয়েল কমপিউটারের মো. দিদারুল আলম চৌধুরি; মাল্টিসিস্টেম সলিউশনের মো. সুফিয়ান আলি; ন্যানো কমপিউটারের মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম; নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজের এইচ এম শাহ নেওয়াজ; পিসি সলিউশনের সুমন চৌধুরি; এস এস কমপিউটার ইউনিট-২ এর আব্দুল্লাহ আল রাজিব; স্কেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড কমপিউটার্সের মঞ্জুর আহমেদ এবং ইউনিয়ন কমপিউটার্সের মোহাম্মদ নুরুল আমিন।
বিসিএস যশোর শাখা: অরপানেটের কে এম আক্তারুজ্জামন; আসু কমপিউটারের আসু তোষ পাল; বেলাল কমপিউটারের মো. তামিম আহমেদ; বেঙ্গল কমপিউটার্সের মো. বকুল হোসেইন; কমপিউটার জোন জেএসআর এর মো. হাসান মোস্তাফা শিমুল; এলিট কমপিউটারের সোহেল রানা; হাবিব কমপিউটারের মো. হাবিব; আই টেক কমপিউটার (যশোর) এর মো. ইমরান আলি সরদার; ল্যাপটপ প্লাজার মো. মামুন হাসান মিলন; লিঙ্ক কমপিউটারের ইব্রাহিম হোসেইন; এম এস কমপিউটারের মুকুল রেজা; নাথ কমপিউটারের পার্থ প্রতিম দেব নাথ; রাম কমপিউটারের রাম প্রসাদ রয়; ট্রাস্ট কমপিউটার্সের মো. আব্দুল মোমিন; ই্উনিক্স নেওয়ার্কের মো. ফারুকি জাহাঙ্গির আলি টিপু এবং ওয়েব ভ্যালি কমপিউটারের রুকুন উদ্দিন আহমেদ।
বিসিএস খুলনা শাখা: অ্যারিয়ানা সিস্টেমসের মুন্সি আরিফুজ্জামান; বেঙ্গলি কমপিউটারের এস কে মুস্তাফা কামাল আশিক; ব্রাদার্স কমপিউটারের মো. সেলিম শেখ; বুশরা কমপিউটারের মো. সিয়াবুল ইসলাম চৌধুরি; কমপিউটার ক্রেস্টের এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান; কমপিউটার প্যালেস খুলনার মাহাবুব রহমান; গ্রাফিক্স সিস্টেমের এস কে শহিদুল হক সোহেল; হ্যাভ সলিউশন্সের আহমেদ কবির; আই স্মার্টের আশরাফুল হক; ম্যাক্সিম ইন্টারন্যাশনালের সাইদ মো. মকসুদুল ইসলাম মুকুল; এন এস কমপিউটারের এস কে আসাফউদ্দোলা সাগর; সান কমপিউটার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান; দ্য কমপিউটার পয়েন্টের এস এম ওয়াহিদ আকবর (টুটুল)এবং ওয়ার্ল্ড কমের শেখ শাহিনুর আলম সিদ্দিকী।
বিসিএস সিলেট শাখা: আলি কমপিউটার্সের সাফি মো. বদরুদ্দোজা; চিফ টেকনোলজির ইয়াসিন কবির; ফ্রেন্ডস কমপিউটারের মো. হারুনুর রশিদ রাজু; জিনিয়াস টেকনোলজির এ এস এম জি কিবরিয়া; গ্লোবাল ট্রেড করপোরেশনের মো. মসনুল করিম চৌধুরি; হাই-ফাই কমপিউটারের মুতাহির উল্লাহ; আই-কন কমপিউটার ইনস্টিটিউটের মালেক আহমেদ চৌধুরি; মিলেননিয়াম কমপিউটার্সের হেলাল উদ্দিন; পারফেক্ট কমপিউটার্সের মো. হারুন-অর-রশিদ; প্লাটনিক জোনের মো. ইয়াহিয়া খালেদ; ইউকে ল্যাপটপ বাজারের আহমেদ মাসুদ হায়দার জালালাবাদি; ইউনিক কমপিউটারের সরদার আমিনুর রহমান (সুপন); উইন ট্রেডের আহমেদ সফিকুল হাসান এবং জিয়নলিঙ্কের মো. সুলাইমান আহসান তানভির।
ভোটারদের মধ্যে বইছে উতসাহ-উদ্দীপনাও। তবে সাধারণ ভোটারদের চাওয়া উতসবমুখর পরিবেশে যোগ্য প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে বেছে নিতে চান তারা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যতই থাকুক, নির্বাচন উপলক্ষে বিসিএসর সদস্য ও ভোটারদের মধ্যে একটি উতসব উতসব ভাব বজায় থাকে। প্রতিবার এই নির্বাচন যেন এক মহামিলনমেলায় পরিনত হয়। সারাদেশ থেকে বিসিএসর ভোটাররা গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের নতুন নেতৃত্ব বেছে নেন। নির্বাচনে সারাদিনই থাকে উতসববমুখর পরিবেশ।