স্মার্টফোনের কারণে এখন হাতে হাতে ক্যামেরা। তবুও বিয়ের দিনের ছবি তোলার কাজ কেউ আনাড়ি হাতে ছেড়ে দিতে চায় না। আলো আঁধারিতে দারুণ সব ছবি তোলা বিয়ের আনন্দ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। আর এই স্মৃতিটাই অমূল্য। এক্ষেত্রে নবদম্পতি আস্থার জায়গা এখনও প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। আর এই ঘরনার ফটোগ্রাফিতে ইতিমধ্যে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছে ড্রিম ওয়েভার।
সেই ড্রিম ওয়েভার মুগ্ধ হয়েছে সম্প্রতি দেশে আসা ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি স্মার্টফোনের ক্যামেরার কাজ দেখে। ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মূলত স্বল্প আলোতে ছবি তুলতে অতিরিক্ত আলো, ছবির স্টাবিলাইজেশন ঠিক রাখতে আলাদা যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতে হয়। এরকম একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে দারুণ কাজ করেছে ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জি।
ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জি ব্যবহার করে এবং এর ক্যামেরা পারফরমেন্সে মুগ্ধ হয়েছেন ড্রিম ওয়েভারের প্রতিষ্ঠাতা নাফিজ আহমেদ শুভ। তিনি বলেন, অনেকদিন দেখা যায় আমরা ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে বের হই না। পথে দারুণ কোনো মুহূর্ত চোখে পড়ে, কিন্তু ডিএসএলআর ক্যামেরা না থাকায় দুর্দান্ত সেই সব মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা যায় না। এমন সব মুহূর্তে ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জি দারুণ কাজে আসে। ফটোগ্রাফি সহজ করে দেয় এই স্মার্টফোনের ক্যামেরা।
তিনি আরও বলেন, আগের স্মার্টফোনগুলোতে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আমরা যেই ধরনের মানের ছবি প্রত্যাশা করি আগের স্মার্টফোনগুলোর ক্যামেরা তার ধারেকাছেও ছিল না। কিন্তু ভিভোর এক্স৭০প্রো ৫জি আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছে। এখন আমরা ইচ্ছে করেও ডিএসএলআর বাসায় রেখে বেরোতে পারি। কারণ আমরা জানি, এক্স৭০ প্রো ৫জি থেকে স্টুডিও মানের ছবি পাবো।
ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জিতে রয়েছে কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। এই ক্যামেরাগুলো হলো ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, যা মূলত আল্ট্রা সেন্সিং গিম্বল ক্যামেরা। থাকছে দুটি ১২ মেগাপিক্সেল ২ এক্স সেন্সর, যার একটি পোট্রেট তোলার জন্য, অপরটি ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা। সঙ্গে থাকছে আরেকটি ৮ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ ক্যামেরা। জেইস টি* কোটিংয়ের কারণে ছবির গুণগত মান ভালো হয়, ছবির রং দারুণভাবে উঠে আসে।
আলোকচিত্রের জন্য লাইটিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন নাফিজ। এই ক্ষেত্রে জেইস টি* কোটিং দারুণ কাজ করে। ছবিতে অনাকাঙ্খিত বিষয় দূর করে দেয় এই প্রযুক্তি। নাফিজ বলেন, ‘সূর্যাস্তের সময় পোট্রেট তুলতে গিয়ে আমি দুর্দান্ত এই ক্যামেরা ফিচার সম্পর্কে ধারণা পাই। সাধারণত এমন মুহূর্তে ছবিতে আমাকে নানা ফিল্টারিং করতে হয়। কিন্তু ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি জাদুর মতো কাজ করে! এই স্মার্টফোনের ফটোগ্রাফিতে আলাদা কোনো জুমের ব্যবস্থা করার দরকার পড়ে না। এতে আছে ৮ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ ক্যামেরা। রিয়ার ক্যামেরা সেট আপে ৬০ এক্স আল্ট্রা জুম করে ছবি তোলা যাবে, এবং ছবি ঘোলাটে কিংবা ফেটে যাবে না।
নাফিজ রাতের আকাশের তারার নিচে দাঁড়িয়ে পোট্রেট তুলতে পছন্দ করেন। পেশাদার ডিএসএলআর ক্যামেরা, যন্ত্রপাতি এবং লাইটিং দিয়েও এমন পরিবেশে ভালো ছবি পাওয়া বেশি কষ্টসাধ্য। তাঁর ধারণা ছিল স্মার্টফোন ক্যামেরাও এমন পরিবেশে ভালো ছবি পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জি নাফিজের সেই ধারণা বদলে দিয়েছে। ক্যামেরার রিয়েল টাইম এক্সট্রা নাইট ভিশন, সুপার নাইট ভিডিও এবং পিওর নাইট ভিউ ফিচারগুলো সংযুক্ত করে রাতের ফটোগ্রাফিতে আমূল পরিবর্তন এনেছে এই স্মার্টফোন। এখন আর রাতে ভালো ছবি তোলা নিয়ে ভাবতে হবে না। ক্যামেরা নিজে থেকেই এক্সপোজার ঠিক করে নেয় এবং ছবির নয়েজ কমিয়ে ফেলে।