ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান গ্রাহকের চাহিদা পূরণে নিজেদের সার্ভিস সেন্টারকে দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিয়েছে বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। সারাদেশে ভিভোর বিদ্যমান ২০টি সার্ভিস সেন্টারকে বাড়িয়ে খুব শিগগিরই ৪০টিতে রূপান্তর করবে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি করোনা অতিমারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর স্মার্টফোনের ব্যবহার ও চাহিদা দুটিই বেড়েছে। বিদ্যমান সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে এই চাহিদা প্রতিনিয়ত পূরণ করে যাচ্ছে ভিভো। তবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ক্রমবর্ধমান এই চাহিদার সেবা পূরণে সার্ভিস সেন্টার আরও বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সারা দেশে একটি ২৪/৭ অপারেশনাল কুরিয়্যার ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস প্রতিষ্ঠার কাজও করছে ভিভো। এই সেবা নিশ্চিত করা গেলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দেয়া যাবে ভিভো স্মার্টফোন এবং এর এক্সেসরিজ। দেশব্যাপি কঠোর লকডাউনের এ সময়ে গ্রাহকরা যাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিক্রয় পরবর্তী সেবা সঠিকভাবে পান, সেজন্যে ভিভো ব্র্যান্ড স্টোরগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রাহকদের অস্থায়ী পিকআপ পয়েন্ট হিসেবে। গ্রাহকরা নিজেদের স্মার্টফোনগুলোকে এই ব্র্যান্ড স্টোরগুলোতে রেখে যাচ্ছেন এবং সার্ভিসিং শেষে আবার একই জায়গা থেকে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে লকডাউনে সার্ভিস সেন্টার খোঁজার ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না গ্রাহকদের। বর্তমানে গ্রাহকরা এক ঘন্টার মাঝে তাদের আকাঙ্খিত সার্ভিসটি পেয়ে থাকেন ভিভো সার্ভিস সেন্টার থেকে। আর প্রতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে ভিভো গ্রাহকদের জন্যে পালন করে ভিভো সার্ভিস ডে।
ভিভো বাংলাদেশের কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম ইমন বলেন, বাংলাদেশে বিক্রয়-পরবর্তী সেবাকে একটি মাইলফলকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ভিভো। তাই করোনাকালীন লকডাউনের কারণেও যাতে এই সেবায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে আমরা আমাদের সার্ভিস সেন্টারগুলোকে দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, এরপর গ্রাহকরা তাদের কাছাকাছি সার্ভিস সেন্টারে আরও দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবেন এবং সেবা নিতে পারবেন। প্রয়োজনে এই সেবা ভিভো আরও বাড়াবে।
বর্তমানে দেশে ভিভোর ২০টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি রয়েছে ঢাকায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, বগুড়া, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদি, সিলেট, কুমিল্লা, গাজীপুর, রাজশাহী, সাভার, কক্সবাজার, যশোর, পটুয়াখালি এবং টাঙ্গাইলে রয়েছে বাকি সার্ভিস সেন্টারগুলো।