ক.বি.ডেস্ক: হুয়াওয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) বাজার দাঁড়াবে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এ বিষয়টির ওপর আবারও জোর দিলেন হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা বব কাই। তিনি সম্প্রতি চীন থেকে অনলাইনে আয়োজিত হুয়াওয়ের ‘বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২১’ এ ‘‘ফাইভজি+এআর, টার্নিং ড্রিমস ইনটু রিয়েলিটি’’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় এ বিষয়ে কথা বলেন।
হুয়াওয়ের বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২১ এ বক্তব্য রাখেন শেনঝেন কমিউনিকেশন ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর পরিচালক হে চেংজিয়ান; স্ট্রাটেজি অ্যানালিটিক্সর নির্বাহী পরিচালক ডেভিড ম্যাকক্যুইন; শেনঝেন টিভি স্টেশনের প্রধান নির্মাতা হুয়াং হে; রিয়েলম্যাক্সর সিইও ওয়েই রঙ্গজি; মিলিপ সিইও হিরোশি ফুকুদা; এইচএডিও চীন রিজিওনর প্রতিনিধি লিয়াং জিনহাও এবং শেনজেন এআর অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ফু জি।
বব কাই বলেন, ফাইভজি এআর প্রযুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। শিক্ষা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, কেনাকাটা, ভ্রমণ ও নেভিগেশন এবং গেমিং এই পাঁচটি শিল্পখাত প্রথমেই এআর প্রযুক্তিকে বিস্তৃতভাবে গ্রহণ করবে। জড়জগৎ আর ডিজিটাল জগতকে একসঙ্গে করার মাধ্যমে আমাদের কল্পনাগুলোকে বাস্তবে পরিণত করবে এআর। আপনি যদি দ্রুত কোথাও যেতে চান তবে একা যান; আর আপনি যদি অনেক দূর যেতে চান, তাহলে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে যান। এআর বিকাশের জন্য পুরো শিল্পকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং আমাদের সবার যৌথ উদ্যোগে প্রবৃদ্ধিশীল ফাইভজি+এআর ভ্যালু চেইন তৈরি করা প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ -এর বৈশ্বিক মহামারির কারণে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে থাকা হুয়াওয়ের গ্রাহকগণ হুয়াওয়ের অফিস পরিদর্শন করতে পারছেন না। এজন্য হুয়াওয়ে এআর এর সাহায্যে অনলাইনে এর শীর্ষস্থানীয় নানা পণ্য ও সমাধান নিজের গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে অনলাইন যোগাযোগকে আরও কার্যকরী করে তুলেছে। এ ছাড়াও, হুয়াওয়ে নিজে এআর ব্যবহার করে ফাইভজি বেইজ স্টেশনগুলোর হস্তান্তর প্রক্রিয়া খুব সহজ ও দ্রুততর করেছে।