ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) উদ্যোগে ‘‘হাই-টেক পার্কের চলমান কার্যক্রম: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএইচটিপিএ’র নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএইচটিপিএ’র পরিচালক এ এন এম সফিকুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আখতারুজ্জামান। সেমিনারে আইসিটি বিভাগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময় যেখানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক যে মন্দার ঝুঁকি রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই আকৃষ্ট করতে সমর্থ্য হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইসের দেশীয় চাহিদার ৭৫ শতাংশই আমরা নিজেরা পূরণ করছি। শীঘ্রই দেশের ডিজিটাল ডিভাইসের শতভাগ চাহিদা পূরণ করে আমরা বিদেশেও পুর্ণোদ্যমে রপ্তানী করবো। ইতোমধ্যে আমরা কালিয়াকৈর এর বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উকপাদিত আইওটি ডিভাইস বিদেশে রপ্তানী করেছি। খুব অল্প সময়েই সেখানে আরও বেশ কিছু কোম্পানি উতপাদন শুরু করবে।