ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয় বরং সার্টিফিকেট যাতে কাজে লাগে এ ধরণের শিক্ষা দরকার। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বড় সংকটের নাম কর্মসংস্থান। একজন শিক্ষার্থীর ন্যূনতম ডিজিটাল দক্ষতা এবং প্রকাশের সক্ষমতা বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় এর কোন ব্যবস্থাই নাই। আমাদেরকে সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে এ দুটি বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। ডিজিটাল বিশ্বের উপযোগী করে আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই প্রোগ্রামিং শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অপরিহার্য। তিনি ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে ত্বরিত ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় ইউজিসি আয়োজিত ‘‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং তার পরবর্তী’’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়া লিংকেজ’ বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উদ্ভাবনী ক্ষমতা দরকার, সব উদ্ভাবন বাণিজ্যিকভাবে সফল নাও হতে পারে-তবুও উদ্ভাবনই ভবিষ্যত। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়েরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট আছে, সক্ষমতা আছে দুর্বলতাও আছে। সে গুলো চহ্নিত করতে পারলে ভাল সুফল জাতি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্বের নবম ফাইভ-জি প্রযুক্তির সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে। আমাদের এই যাত্রা ঐতিহাসিক যাত্রা। প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পৃথিবীর উন্নত দেশের সমান্তরালে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাই নয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতায় উপনীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উন্নত দেশের জন্য যন্ত্রকে মানুষের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য প্রয়োজন কারণ তাদের মানুষের অভাব। কিন্তু আমরা যন্ত্রকে মানুষের জায়গায় বসাব না। আমরা উন্নত দেশের জন্য যন্ত্র তৈরি করবো। ইতোমধ্যেই আমরা ডিজিটাল ডিভাইস আমদাদানিকারক দেশ থেকে উতপাদক ও রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু করেছি। ফাইভ-জি হবে একটি শিল্প পন্য। শিল্প, বাণিজ্য কৃষি, শিক্ষা, চিকিতসা ও মতস্যচাষে দেশে ফাইভ-জি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রিজওয়ান রহমানের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচনায় ইউজিসি’র সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বক্তার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রচলিত শিক্ষাকে ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।