Wednesday, December 25, 2024
More

    সর্বশেষ

    বিসিএস’র ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ

    ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে বিসিএস’র সদস্যদের অংশগ্রহণে ‘‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’’ শীর্ষক দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম।

    আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে আয়োজিত ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। কর্মশালায় বিসিএস এর প্রাক্তন সভাপতি এস এম ইকবাল, সরকারি কর্মকর্তা, সমিতির সদস্য ও সদস্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেন, ই-বর্জ্যের কারণে বর্জ্য প্রবাহ বেড়ে চলেছে। গবেষণা মতে, ২০২৫ এ ই-বর্জ্যের পরিমাণ হবে ৬৫.৩ মিলিয়ন টন এবং ২০৩৫ পর্যন্ত হবে ৭৪.৭ মিলিয়ন টন। এই বাড়তি বর্জ্যের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যহানিসহ নানা প্রকার রোগের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। দেশেও ই-বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি সমন্বয়ে সঠিক ব্যবস্থাপনা আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে ই-বর্জ্য বেড়ে চলেছে। ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, যেসব বৈদ্যুতিক পণ্য বা যন্ত্রাংশ পুনরায় ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে তা প্রক্রিয়াজাত করে আবার নতুন করে আবার ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। বুয়েটর গবেষণা মতে, ২০২১ এ দেশে ই-বর্জ্যের পরিমাণ .৫ মিলিয়ন টন যা ২০ শতাংশ হারে প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ এনভায়রমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট এবং কালিয়াকৈর এ বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট এর পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) ইতোমধ্যে ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পূর্ণ গতিতে কাজ শুরু করেছে যা ২০২২-২০২৭ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা।

    মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, বিশ্বব্যাপী ইলেক্ট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল বর্জ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে নীতিমালা প্রণিত হয়েছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতে তরুণ উদ্যোক্তারাও এই ব্যবস্থাপনার সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করতে পারবে।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.