ক.বি.ডেস্ক: ২০২৩ সালের মধ্যে বন্ডেড সুবিধা পুরোপুরি অটোমেশন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ অটোমেশন প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হবে। তখন বন্ডেড প্রক্রিয়া অটোমেশন হওয়ার ফলে কেউ চাইলেও অবৈধ সুবিধা নিতে পারবে না।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামসহ সংগঠনের কয়েকজন প্রতিনিধি তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কাগজপত্রের জটিলতা এবং পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে করদাতারা আয়কর বিবরণী জমা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় অনীহা দেখান। এ সমস্যার সমাধানে অনলাইনে আয়কর বিবরণী জমা দেয়াকে আরও জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হবে। ভবিষ্যতে অনলাইন রিটার্ন জমা দেয়া জনপ্রিয় করবো। রিটার্ন দেয়ার ক্ষেত্রে চলমান সিস্টেম একটা অন্তরায়। একজন টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দিতে গেলে যে পরিমাণ কাগজপত্র হিসাব-নিকাশ জমা দিতে হয় তা সবার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
ইআরএফ এর পক্ষ থেকে টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিল করার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো, দেশে করযোগ্য প্রকৃত নাগরিকের সংখ্যা নিরুপণে ব্যাপকভিত্তিক জরিপ পরিচালনা করা, উৎসে কর না কেটে বিকল্প পদ্ধতিতে কর আহরণ করা যায় কি না তা ভেবে দেখা, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল পদ্ধতিকে আরও জনপ্রিয় করা, বিনিয়োগকারীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কর কাঠামো তৈরি,রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্য সম্ভাবনাময় খাতকেও তৈরি পোশাকের মতো নিয়মিত বন্ডেড সুবিধা দেয়া, প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা এইচএইচ কোড নির্ধারণ এবং কোভিড পরিস্থিতির কারনে বোতলজাত পানির উপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক শিথিল করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।