ক.বি.ডেস্ক: স্যামসাং বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন প্রিমিয়াম মোবাইল প্রসেসর ‘‘এক্সি্নোস ২২০০’’। এই প্রসেসরে রয়েছে হার্ডওয়্যার-অ্যাকসেলারেটেড রে ট্রেসিং এবং আর্মভিত্তিক প্রসেসিং প্রযুক্তি। এএমডি আরডিএনএ ২ আর্কিটেকচার ভিত্তিক স্যামসাং এক্সক্লিপস গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) যুক্ত। মোবাইল ফোন গেমিং অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি মিডিয়া অ্যাপ ও ফটোগ্রাফি সামাজিক যোগাযোগে আরও উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় এমন সিপিইউ কোরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক আর্মভিত্তিক সিপিইউ কোর এবং আপগ্রেডেড নিউরাল প্রসেসিং ইউনিট যুক্ত মোবাইল প্রসেসর এক্সি্নোস ২২০০। এক্সক্লিপস জিপিইউ একটি ব্যতিক্রমী হাইব্রিড গ্রাফিক প্রসেসর। উচ্চ পারফর্মেন্সযুক্ত এএমডি আরডিএনএ ২ আর্কিটেকচারের সঙ্গে এক্সক্লিপসে রয়েছে উন্নত গ্রাফিক ফিচার, অ্যাকসেলারেটেড রে ট্রেসিং (আরটি) ও ভেরিয়েবল রেট শেডিং (ভিআরএস)।
মোবাইল জিপিইউতে হার্ডওয়্যার-অ্যাকসেলারেটেড রে ট্রেসিং মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম। রে ট্রেসিং একটি বৈপ্লবিক প্রযুক্তি। ভেরিয়েবল-রেট শেডিং এমন একটি কৌশল, যা ব্যবহার করে সামগ্রিক গুণমান প্রভাবিত করবে না এমন জায়গায় ডেভেলপাররা কম শেডিং রেট প্রয়োগ করতে পারে এবং এর মাধ্যমে জিপিইউর কাজের চাপ অপ্টিমাইজ হয়। এক্সক্লিপস জিপিইউতে আরও নানাবিধ প্রযুক্তি রয়েছে- অ্যাডভান্সড মাল্টি-আইপি গভর্নর (এএমআইজিও)।
এক্সিনোস ২২০০ আর্মর সর্বশেষ আর্মভি৯ সিপিইউ কোরগুলোর সমন্বয় করা বাজারের অন্যতম প্রথম প্রসেসর। এটি বর্তমান মোবাইল যোগাযোগ ডিভাইসের ক্ষেত্রে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা দুটি ক্ষেত্র- নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষমতার দিক থেকে আর্মভি৮ এর তুলনায় যথেষ্ট উন্নত। এর অক্টা-কোর সিপিইউ একটি আর্ম কর্টেক্স-এক্সটু ফ্ল্যাগশিপ কোর, তিনটি কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতার সামঞ্জস্য করা কর্টেক্স-এ৭১০ বিগ কোর এবং চারটি পাওয়ার এফিশিয়েন্ট কর্টেক্স-এ৫১০ লিটল-কোরের সমন্বয়ে গঠিত একটি ট্রাই-ক্লাস্টার কাঠামোতে ডিজাইন করা হয়েছে।
এক্সিনোস ২২০০ আপগ্রেডেড এনপিইউর সঙ্গে ডিভাইসে আরও শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রদান করে। এনপিইউর কর্মক্ষমতা এর আগেরগুলোর তুলনায় এখন দ্বিগুণ। এ ছাড়াও সাব-৬হাটর্জ এবং এমএমওয়েভ (মিলিমিটার ওয়েভ) স্পেকট্রাম ব্যান্ড উভয়কে সমর্থন করে এমন দ্রুতগতির ৩জিপিপি রিলিজ ১৬ ৫জি মডেম যুক্ত করে। এর ইমেজ সিগন্যাল প্রসেসর (আইএসপি) আর্কিটেকচার ২০০ মেগাপিক্সেল (এমপি) পর্যন্ত অতি-উচ্চ রেজ্যুলেশনের ইমেজ সেন্সরকে সমর্থন করার জন্য পুনরায় ডিজাইন করা হয়েছে। ৩০ ফ্রেম-প্রতি-সেকেন্ডে (এফপিএস), আইএসপি একক ক্যামেরা মোডে ১০৮ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত এবং ডুয়াল ক্যামেরা মোডে ৬৪+৩৬ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত সমর্থন করে। ভিডিও রেকর্ডের জন্য, আইএসপি ফোরকে এইচডিআই (বা এইটকে) রেজ্যুলেশন পর্যন্ত সমর্থন করে।