বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে ‘পোকো এম২ প্রো’ মডেলের নতুন ফোন আনার ঘোষণা দিয়েছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড পোকো। ফিচার ও পারফরম্যান্সের সমন্বয় করে এবং কর্মদক্ষতা বাড়াতে ফোনটিতে দেয়া হয়েছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি প্রসেসর। বক্সে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জারসহ আসছে ফোনটি। পোকো এম২ প্রো গ্রিন অ্যান্ড গ্রিনার কালার সংস্করণে আসছে। ৬জিবি+৬৪জিবি সংস্করণে ফোনটির মূল্য ২২,৯৯৯ টাকা।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, পোকো এম২ প্রো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও বক্সে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার নিয়ে আসছে। সঙ্গে থাকছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের এআই কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। স্মার্টফোনটি ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে অভূতপূর্ব স্তরে উন্নীত করেছে। ফিল দ্য পাওয়ার ট্যাগলাইন নিয়ে পোকো এম২ প্রো সরবরাহ করে উচ্চমানের ফিচার, উচ্চমানের পরিশীলিত সফটওয়্যার। নতুন স্মার্টফোনটি পোকো ফ্যান এবং নতুন গ্রাহকরা একইভাবে পছন্দ করবেন।
পোকো এম২ প্রো: স্মার্টফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল-স্ক্রিন ডিসপ্লে। ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন ২৪০০x১০৮০ পিক্সেল। সুরক্ষার জন্য আছে ট্রিপল কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ প্রযুক্তি। আছে পি২আই ন্যানো কর্টিং প্রযুক্তি যা ডিভাইসকে যেকোনো ধরনের আঁচড় ও স্প্ল্যাশ থেকে সুরক্ষা দেবে। ফোনটিতে রয়েছে ৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি প্রসেসর। প্রসেসরে রয়েছে অক্টা-কোরের ক্র্যায়ো ৪৬৫ কোর এবং কোয়ালকমের অ্যাড্রেনো ৬১৮ জিপিইউ। গেমিং পারফরম্যান্স নিশ্চিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগনের এলিট গেমিং ফিচার।
কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে এসেছে ডিভাইসটি। এর প্রধান ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের, আছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড, একটি ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর। ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরায় ব্যবহারকারীরা ১১৯ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ফিল্ড ভিউ, ডিটেইল ক্লোজআপ নেয়া যাবে ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রোতে। রয়েছে অটোফোকাস এবং ভিডিও শ্যুট করা যাবে ১০৮০ পিক্সেলে। সেলফি নিতে থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ইন-স্ক্রিন সেলফি ক্যামেরা। কমিউনিটির চাহিদার ভিত্তিতে এতে দেয়া হয়েছে প্রথমবারের মতো নাইট মোড।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি ফোনটিতে থাকছে শাওমির কাস্টমাইজড এমআইইউআই ১২। ৬ গিগাবাইট এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট ইউএফএস২.১ স্টোরেজের সঙ্গে রয়েছে একটি ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট। দীর্ঘ সময় ব্যাটারি ব্যাকআপের জন্য দেয়া হয়েছে ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। সঙ্গে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার, যা ৫০ শতাংশ চার্জ করে মাত্র ৩০ মিনিটে।