ক.বি.ডেস্ক: অপটিক্স ও অপটোইলেকট্রনিক্সের জগতে সেরা জার্মান প্রতিষ্ঠান কার্ল জেইসের সঙ্গে সমন্বয় করে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে এক্স সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ‘‘ভিভো এক্স ৭০প্রো ৫জি’’ এনেছে ভিভো। প্রতিষ্ঠানটি এই সিরিজের ক্যামেরাসহ অন্যান্য ফিচারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে থাকে। স্মার্টফোনটির ক্যামেরা প্রযুক্তি দিয়ে স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির জগতে আরও শীর্ষে পৌঁছেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেরা ছবি তোলার অভিজ্ঞতা দিতে এবং এক্সক্লুসিভ মোবাইল ফটোগ্রাফিকে সবার হাতের নাগালে আনতেই বাজারে আনা হয়েছে ডিভাইসটি। স্মার্টফোনটি বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর মূল্য ৭২,৯৯০ টাকা।
ফটোগ্রাফিতে সবচেয়ে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আলো। জেইস টি* কোটিং হলো ছবি তোলার সময় যা আলোর প্রতিফলন হ্রাসে কাজ করে আলোর প্রতিফলনকে স্বচ্ছ করে লেন্সের মাধ্যমে ছবির ঘোস্টিং এবং নয়েজ কমিয়ে আনে। স্মার্টফোনটিতে একইসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে আল্ট্রা সেন্সিং গিম্বল ক্যামেরা। এই প্রযুক্তির কারণে অনেক বেশি স্থির ও স্বচ্ছ ছবি তুলবে। চলমান সময়ে ছবি তুলতে গিয়ে ছবির ব্লার হওয়া রোধ করবে। একইসঙ্গে অন্ধকার পরিবেশে দারুণ ছবি তুলতে সহায়তা করবে এই দুই প্রযুক্তি।
জেইসের সমন্বয়ে পোর্ট্রইেটের ক্ষেত্রে ভিভো এক্স৭০প্রোতে চারটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন এনেছে ভিভো, এতে রয়েছে সুপার নাইট ক্যামেরা। রয়েছে জেইস স্টাইল পোর্ট্রেটস প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির আওতায় স্মার্টফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে জেইসের চারটি পোর্ট্রইেট ক্যামেরা লেন্সের আদলে-বায়োটার, ডিসটাগন, প্ল্যানার, এবং সোনার। এই চারটি লেন্সের সমন্বয়ে পোর্ট্রইেট ফটোগ্রাফি করতে পারবেন গ্রাহকরা। রয়েছে ভিস ৫-এক্সিস আল্ট্রা স্ট্যাবল ভিডিও মোড। ৬০ এক্স হাইপার জুম এবং ৫ এক্স অপটিক্যাল পেরিস্কোপ ক্যামেরা সম্বলিত ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জি যেকোনো ছবিকে উজ্জ্বল করে তোলে।
ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জি মাত্র ৭.৯৯ মিলিমিটারের স্লিম একটি স্মার্টফোন। ফ্রন্ট এবং রিয়ার ক্যামেরায় রয়েছে ডুয়েল কার্ভড ডিজাইন। এর থ্রি-ডি কার্ভড ডিসপ্লেটি রিয়ার প্যানেলের মাঝের ফ্রেমে এসে যুক্ত হয়েছে; যা ব্যবহারকারীদেরকে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্যবহারের অনুভূতি দিবে। কসমিক ব্ল্যাক এবং অরোরা ডাউন এই দুই রঙে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে ভিভো এক্স৭০প্রো ৫জি। স্মার্টফোনে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি-১২০০ ভিভো প্ল্যাটফর্মের চীপ ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে ফানটাচ ওএস ১২ মিলে ভিভো এক্স৭০প্রো স্মার্টফোনকে একটি অল-রাউন্ডার স্মার্টফোনে পরিণত করেছে।