মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড সিম্ফনি দেশের বাজারে নিয়ে এলো ৪ গিগাবাইট র্যাম, ৬৪ গিগাবাইট রম সমৃদ্ধ ৫০০০ মিলি এ্যাম্পিয়ার ব্যাটারীর নতুন একটি স্মার্টফোন ‘সিম্ফনি জেড৩০ প্রো’। সাধারণ ব্যবহারে সিম্ফনির এই স্মার্টফোনটি ফুল চার্জে চলবে দুই দিন পর্যন্ত এবং গ্লাস ব্যাটারি কভার, এআই সমৃদ্ধ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা এবং মিডিয়াটেকের প্রিমিয়াম চিপসেট। সিম্ফনির এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি ইন্ডিগো ব্লু, পার্শিয়ান ব্লু এবং এ্যামাজন গ্রীন কালারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ হাজার ৮৯০ টাকায়। এ ছাড়াও এই স্মার্টফোনটির সাথে থাকছে বাংলালিংক এবং রবির ডাটা বান্ডেল অফার।
‘‘লিভ লাইক এ প্রো’’ স্লোগানে এই ফোনে অপারেটিং সিস্টেম এ্যান্ড্রোয়েড ১০.০। ২০:৯ এ্যাসপেক্ট রেশিওর এই হ্যান্ডসেটটিতে আছে ৬.৫২ ইঞ্চি ২.৫ডি ইনসেল ভি নচ ডিসপ্লে যার রেজ্যুলেশন এইচডি প্লাস বা ৭২০* ১৬০০। ১.৮ গিগাহার্টজ, অক্টাকোর প্রসেসর ও মিডিয়াটেকের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির চিপসেট হ্যালিও এ২৫ এর সঙ্গে জিপিউ হিসেবে আছে আইএমজি পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০ যার স্পীড ৬০০ মেগাহার্টজ এবং ডিডিআর ফোর ভার্সন র্যাম এর ফলে হাই রেঞ্জের গেম গুলো খেলা যাবে স্বাচ্ছন্দে। আর ৫০০০ মিলি এ্যাম্পিয়ার নন রিমুভেবল লি-পলিমার ব্যাটারি দিচ্ছে ২৮ ঘন্টা পর্যন্ত কলিং, ৩৮ ঘন্টা পর্যন্ত মিউজিক, ১৩ ঘন্টা পর্যন্ত ভিডিও, ৮ ঘন্টা ব্রাউজিং এবং ৬ ঘন্টা পর্যন্ত গেমিং করার নিশ্চয়তা।
স্মার্টফোনটির ব্যাক সাইডে আছে তিনটি ক্যামেরা। ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরার সঙ্গে ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর এবং ৫ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড এ্যাংগেল আর ফ্রন্টে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা যার এ্যাপারচার ২.০। ক্যামেরা ফিচারের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ফিচার গুলো হলো এআই, আল্ট্রা ভিউইং ওয়াইড এ্যাংগেল, পোর্ট্রেইট, ওয়াটারমার্ক, ইমোজি, নাইট মোড, এ্যান্টি-ফ্লিকার, ফেস বিউটি, ডিসপ্লে ফ্ল্যাশ, গুগল লেন্স, টাইম ল্যাপ্স, স্লো-মো, প্রফেশনাল, অটো এইচডি আর এবং টাচ শট। ট্রু এআই ফটোগ্রাফিতে পাওয়া যাবে আরও কিছু স্পেশাল মোড যেমন ফুড, প্ল্যান্ট, ব্লু স্কাই, নাইট সিন, ক্যারেক্টার্স, বিল্ডিং, সান রাইজ এবং সান সেট, ফ্লাওয়ার্স, স্নো, ফায়ারওয়ার্কস, এ্যানিমেল, আইডি কার্ড এবং পোট্রেইট। স্মার্টফোনটিতে মাল্টিফাংশন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেন্সর আছে যেমন জি সেন্সর, লাইট সেন্সর এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর।
স্পেশাল ফিচারের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ফিচার হিসেবে আছে প্যারেন্টাল লক এবং গুগল এ্যাসিসটেন্স বাটন। প্যারেন্টাল লক এর মাধ্যমে অভিভাবক তাঁর বাচ্চাকে যদিও মোবাইলটি দেয় তাহলেও নিজের অন্য ফোন দিয়ে এই ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখতে পারবেন। মোবাইলে বসে বাচ্চা কি করছে তাও দেখতে পাবেন এবং যে কোন সফটওয়্যারের টাইম নির্দিস্ট করে দিতে পারবেন আর গুগল এ্যাসিসটেন্স বাটন যাতে এক প্রেসে মুহুর্তেই ওপেন হবে লিমিটলেস গুগল সার্চ! এ ছাড়াও ভয়েস কমান্ড এ অটো অ্যাপ ওপেনসহ এ্যাপয়েন্টম্যান্ট সেট, ম্যাপ সার্চ, আল্যার্ম অথবা রিমাইন্ডার সেটআপ।
এ ছাড়াও আরও উল্ল্যেখযোগ্য ফিচারগুলো হলো ফেস আনলক, ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং, স্মার্ট কন্ট্রোল, ওয়ান হ্যান্ড মোড, ডার্ক মোড, বেড টাইম মোড, লিফট টু ওয়েক আপ, কাস্টমাইজেবল নটিফিকেশন লাইট, স্মার্ট এ্যাকশন এবং স্মার্ট জেশচার।