গ্লোবাল টেকনোলজি লিডার শাওমি মঙ্গলবার বাংলাদেশের বাজারে মি নোট সিরিজের কোয়াড ক্যামেরার ‘মি নোট ১০ লাইট’ স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। ৮ গিগাবাইট র্যাম ও ১২৮ গিগাবাইট রম ভ্যারিয়ান্টের মি নোট ১০ লাইট পাওয়া যাবে মিডনাইট ব্ল্যাক রঙে, মূল্য ৩৯,৯৯৯ টাকা। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে দেশব্যাপী অথোরাইজড মি স্টোর, অনলাইন পার্টনার চ্যানেল এবং রিটেইল পার্টনার স্টোর থেকে ফোনটি কেনা যাবে। এ ছাড়াও ব্র্যান্ডটি গ্রাহকদের আরও সহজে বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানে নতুন ছয়টি সার্ভিস সেন্টার চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
মি নোট ১০ লাইট শাওমির ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস। এতে রয়েছে ৬.৪৭ ইঞ্চি থ্রিডি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং পেছনের থ্রিডি কার্ভড গ্লাস। ডিসপ্লেটির ৯১.৪ শতাংশ স্ক্রিন টু বডি রেশিও, যার রেজুলেশন ১০৮০*২৩৪০ পিক্সেল। ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ডিভাইসটির সুরক্ষায় এর সামনে এবং পিছনে উভয় দিকেই কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ ব্যবহার করা হয়েছে।
মি নোট ১০ লাইট ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। যা শীর্ষ ক্যামেরা নির্মাতা সনির আইএমএক্স৬৮৬ সেন্সর। এর প্রধান ক্যামেরা ৬৪ মেগোপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো এবং একটি ৫ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর। এ ছাড়াও সামনে সেলফি তুলতে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ক্যামেরায় রয়েছে প্যানারোমা, পোর্ট্রেইটসহ অসংখ্য ফিচার। নেওয়া যাবে ৯৬০এফপিএসে স্লো-মোশন ক্যাপচার, রয়েছে ৪কে ভিডিও শুটিং এবং ভ্লগ মোড সুবিধা।
মি নোট ১০ লাইট ডিভাইসটিতে রয়েছে ৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৭৩০জি চিপসেট। অক্টা-কোর প্রসেসরের সঙ্গে রয়েছে অ্যাড্রেনি ৬১৮ জিপিইউ। অ্যান্ড্রয়েড ১০ এর উপর রয়েছে শাওমির কাস্টমাইজ এমআইইউআই ১১। ফোনটিতে পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে আছে ৫২৬০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, যা একবার সম্পূর্ণ চার্জে টানা দুইদিন ব্যবহারের সুবিধা দেবে। সঙ্গে থাকছে ৩০ ওয়াটের চার্জার, যাতে মাত্র ৬৪ মিনিটে শুণ্য থেকে ১০০% চার্জ করা যাবে।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মি নোট সিরিজ আনতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের পোর্টফোলিও বাড়ানোর অংশ হিসেবে ডিভাইসটি আনতে পেরে আমরা খুশি। প্রিমিয়াম লুক ও উন্নত হার্ডওয়্যার ৪০ হাজার টাকা বাজেট সেগমেন্টে মি নোট ১০ লাইট ফোনটিকে মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে, অনন্য করে তুলেছে।
এ ছাড়াও বিক্রয়োত্তর সেবা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেবার অংশ হিসেবে কক্সবাজার, গাজীপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ এবং যশোরে চালু হলো নতুন ছয়টি সার্ভিস সেন্টার। ফলে গ্রাহকরা সারা দেশেই আরও সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে পারবেন। নতুন ছয়টি মিলিয়ে এখন দেশে শাওমির অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯টি।