ক.বি.ডেস্ক: স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি সম্প্রতি রিয়েলমি ‘জিটি টু সিরিজ’ নিয়ে আয়োজিত এক বিশেষ ইভেন্টে তিনটি প্রযুক্তির উন্মোচন করেছে, যার প্রত্যেকটিই বিশ্বে প্রথম। রিয়েলমি’র প্রথম এবং প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ ফোন জিটি টু সিরিজের এই তিনটি অনন্য প্রযুক্তিগত সংযোজন হল- বায়ো-পলিমার উপাদানে তৈরি ব্যাক কভার, ১৫০ ডিগ্রি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং রিয়েলমির ইনোভেশন ফরওয়ার্ড কমিউনিকেশন।
রিয়েলমি জিটি টু প্রো মূলত কাগজদ্বারা অনুপ্রাণিত হ্যান্ডসেট, যেটির নকশার পেছনে পরিমিতিবোধ এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। খ্যাতনামা জাপানি ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়ার তৈরি পেপার টেক মাস্টার ডিজাইন রিয়েলমি জিটি টু প্রো সেটটিকে জৈবভিত্তিক উপকরণ দিয়ে ডিজাইন করা বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনে পরিণত করেছে।
জিটি টু প্রোর ব্যাক কভারে একটি বায়ো-পলিমার উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব। এর এসএবিআইসি জৈবভিত্তিক উপাদানটি যে শুধুমাত্র আইএসসিসি ইন্টারন্যাশনাল সাস্টেইনেবিলিটি অ্যান্ড কার্বন সার্টিফিকেশনই অর্জন করেছে তা নয়, বরং বিভিন্ন পরিবেশগত মানদণ্ড ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার, যেমন আরইএসিএইচ, আরওএইচএস এবং ইপিইএটি স্বীকৃতিও লাভ করেছে। এ ছাড়াও, এই মডেলটির বক্সের জন্য রিয়েলমি’র নতুন ডিজাইনটি ব্যবহৃত প্লাস্টিকের সামগ্রিক অনুপাতকে পূর্ববর্তী প্রজন্মের ২১.৭ শতাংশ থেকে ০.৩ শতাংশে কমিয়ে এনেছে।
ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে প্রায়ই আল্ট্রা-ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি ক্যামেরাকে তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত পরিসরে ছবি ধারণ করার সক্ষমতা দেয়। রিয়েলমি জিটি টু প্রো ১৫০ ডিগ্রি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা নিয়ে আসা বাজারের প্রথম স্মার্টফোন, যা একটি ফোনের ফিল্ড অব ভিউকে প্রাইমারি ক্যামেরার ৮৪ ডিগ্রি ফিল্ডের তুলনায় ২৭৮ শতাংশ প্রসারিত করে। রয়েছে ফিশআই মোড। এই মোড স্ট্রং পার্সপেক্টিভ বা আল্ট্রা-লং ডেপথ অব ফিল্ড ইফেক্ট তৈরি করতে পারে। বৃহত্তর ফিল্ড অব ভিউর সংযোজনে ধারণকৃত গোটা ছবিটি হয়ে ওঠে আরও বেশি আকর্ষণীয়।
অ্যান্টেনা অ্যারে ম্যাট্রিক্স সিস্টেম সম্বলিত রিয়েলমি জিটি টু প্রো’তে রয়েছে তিনটি অনন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা, বিশ্বের প্রথম আল্ট্রা-ওয়াইড-ব্যান্ড অ্যান্টেনা সুইচিং টেকনোলজি (হাইপারস্মার্ট), ওয়াই-ফাই এনহ্যান্সার এবং ৩৬০ ডিগ্রি নিয়ার-ফিল্ড কম্যুনিকেশন (এনএফসি)। রিয়েলমির হাইপারস্মার্ট অ্যান্টেনা স্যুইচিং প্রযুক্তিটি ১২টি র্যাপ-অ্যারাউন্ড অ্যান্টেনার মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ফোনের চারপাশ জুড়ে কার্যকর থাকে এবং একই সিগন্যাল স্ট্রেংথের মাধ্যমে প্রায় সব দিকে মূলধারার প্রায় সকল ব্যান্ডকে সমর্থন করে। এর প্রতিসম ওয়াই-ফাই অ্যান্টেনাটি ফোনের চারপাশে উন্নত সিগন্যাল স্ট্রেংথ নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। শীর্ষ দুটি সেলুলার অ্যান্টেনাকে একটি এনএফসি সিগন্যাল ট্রান্সসিভার ফাংশনের মাধ্যমে একীভূত করে, যার ফলে সেন্সিং এরিয়া ৫০০ শতাংশ এবং সেন্সিং ডিসট্যান্স ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।