ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনে ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ের পথিকৃত অপো সম্প্রতি পালন করেছে ‘ফ্ল্যাশ চার্জের পর কি’ স্লোগানে ‘‘ফ্ল্যাশ চার্জ ওপেন ডে’’। সেখানে ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তির সর্বশেষ নানা অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অপো। ২০১৪ সালে ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ যাত্রার পর থেকেই নিরাপত্তা, দক্ষতা ও ব্যবহার উপযোগীতা এই তিনটি বিষয় সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে ব্যাটারি ও চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে অপোর গবেষণা ও উন্নয়নে। ২০২১ সালের ৩০ জুন অবধি অপো দ্রুত চার্জ প্রযুক্তি সম্পর্কিত ৩ হাজারের বেশি প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৯৫ মিলিয়ন মানুষের কাছে দ্রুত চার্জিং পদ্ধতি সহজ ও নিরাপদ হিসেবে তুলে ধরেছে।
অপো ভুক ফ্ল্যাশ চার্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জেফ ঝাং বলেন, অপো চার্জি অ্যাডাপটর, ক্যাবল, পিএমআইসি, ব্যাটারিসহ পুরো দ্রুত চার্জিং পদ্ধতিতে একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তারবিহীন বা তারযুক্ত মানুষ যে চার্জিং পছন্দ করুক না কেন ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি মানুষের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর সেটা যেকোন কঠিন পরিস্থিতিই হোক না কেন।
শুধু ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেই ক্ষান্ত হয়নি অপো, এ প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের উপরও জোর দিয়েছে তারা। তাই ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তিতে পাঁচস্তর বিশিষ্ট সুরক্ষিত নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কিভাবে ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ে এআই অ্যালগরিদম, চার্জিং আর্কিটেকচার এবং অন্যান্য বিষয় সংযুক্ত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছে অপো। নিরাপদ সীমার মধ্যে চার্জিং গতি রাখার জন্য তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টেলিজেন্ট ডিটেকশন প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নেয়। এর ফলে ব্যাটারি জীবনকাল বৃদ্ধি পায়। ফলে সর্বোচ্চ ব্যাটারির ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
একটি স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তির ওপর ব্যাটারির পারফরমেন্স বিশেষ করে এর আয়ুষ্কাল এবং এটি চার্জিং গতি ও ফোনের তাপমাত্রার মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে। তবে চার্জিং গতি অনেকটাই বাড়ানো যায় বিশেষ পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ৬৫ ওয়াটের সুপার ভুক চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ ভাগ পর্যন্ত চার্জিং গতি বাড়ানো সম্ভব এবং মাত্র ৩০ মিনিটে ৪৫০০ এমএইচ ব্যাটারি পরিপূর্ণ চার্জ হয়। প্রচন্ড শীতের মতো বৈরি পরিবেশে অপোর ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি স্মার্ট অলগরিদম ব্যবহার করে চার্জিংয়ের আগে তাপমাত্রা বাড়িয়ে নিতে সক্ষম।