টেকভিশন ডেস্ক: অগ্রণী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে বিকাশ একাউন্টে টাকা আনা এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা জমা দেয়া সহ অগ্রণী ব্যাংক লেনদেন এখন করা যাবে বিকাশে। ফলে সারাদেশে অগ্রণী ব্যাংক এর এক কোটিরও বেশি গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং লেনদেন হ’ল আরো সহজ, নিরাপদ এবং সময় ও খরচ সাশ্রয়ী।
শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংক এবং দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ যৌথভাবে প্রথমবারের মত এই দ্বি-মুখী সেবা (অগ্রণী হতে বিকাশ এবং বিকাশ হতে অগ্রণীতে টাকা লেনদেন) চালু করেছে।
আজ ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে এই সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংক এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল।
কভিডের এই সময়ে নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে গ্রাহক ব্যাংকে না এসে দিনরাত (২৪/৭) এই সেবার আওতায় বিকাশ অ্যাপে কয়েকটি ধাপে খুব সহজেই অগ্রণী ব্যাংক এর গ্রাহক তথ্য সংযুক্ত করে প্রয়োজন অনুসারে লেনদেন করতে পারবেন এবং ৫০০ টাকার অধিক লেনদেন হলে ১০০ টাকার ক্যাশ ব্যাক পাবেন।
অ্যাড মানি’র মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা এনে গ্রাহক প্রয়োজন মত বিদ্যুত বিল সহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল দেয়া, বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট করা, মোবাইল রিচার্জ করা, টিকিট ক্রয়, কাউকে টাকা পাঠানো বা ক্যাশ আউট করা সহ সকল বিকাশ সেবা মুহুর্তেই নিতে পারবেন।
বিকাশের মাধ্যমে ছোট অংকের এসব লেনদেন সুবিধা ব্যাংকের শাখাগুলোর ওপর চাপ কমিয়ে দেবে এবং বিশেষায়িত সেবার জন্য সেখানে আসা গ্রাহকদের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেয়ার সুযোগ তৈরি করবে। অন্যদিকে, ব্যাংকিং সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত শাখায় গিয়ে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা না থাকায় গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন স্থান থেকে দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টা লেনদেনের স্বাধীনতা ও সক্ষমতা অর্জন করবেন।
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর-দেশজুড়ে আমাদের ৯৫৮টি শাখা এবং প্রায় ৪০০টি এজেন্ট ব্যাংকিং এর অগণিত গ্রাহক নতুন এই সেবার কল্যানে তাদের প্রয়োজনমত যেকোন সময় লেনদেন করতে পারবেন।
বিকাশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, আমাদের গ্রাহকবান্ধব ডিজিটাল লেনদেন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ব্যাংকগুলো তাদের সেবাকে আরো সৃজনশীলভাবে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে।