Sunday, September 14, 2025
More

    সর্বশেষ

    চুয়েটে ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)-এ ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট কর্মসূচির আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। সদ্য স্নাতক সম্পন্নকারীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করার সাথে সাথে একটি উজ্জ্বল পেশাজীবন পান, সেটাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

    হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

    অনুষ্ঠানটিতে চুয়েট এবং হুয়াওয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার মোঃ ফারা নেওয়াজ, এইচআর ম্যানেজার ওমর হায়দার মাসফিক আহমেদ ও অ্যাসিস্টেন্ট এইচআর ম্যানেজার মো. খালিদ হোসেন। চুয়েটের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী।

    সম্প্রতি চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এই কর্মসূচির মধ্যে ছিল একটি বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ সেশন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়েতে কাজের সুযোগ পাবেন। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পাশাপাশি মোঃ ফারা নেওয়াজ একটি সেশন পরিচালনা করেছিলেন যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় টেলিকম শিল্পের বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং এই খাতে হুয়াওয়ের ভূমিকা ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।

    হুয়াওয়ের এইচআর ডিরেক্টর লিনজিয়াও বলেন, “নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নতুন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করি যাতে তারা দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। হুয়াওয়ে নতুন গ্র্যাজুয়েট ও অভিজ্ঞদের এক পরিবার এবং এই সমন্বয়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য স্নাতক সম্পন্নকারীরা নতুন-নতুন ধারণা নিয়ে আসতে পারে। চুয়েটে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে এবং আমরা তাদেরকে হুয়াওয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আনন্দিত।”

    এই উদ্যোগের বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, “হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে আইসিটিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগের একটি মূল্যবান প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এটি শিল্পখাতের চাহিদা সম্পর্কে তাদেরকে আরও বেশি ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ার দারুণ সুযোগ দিয়েছে।”

    এই কর্মসূচির একজন অংশগ্রহণকারী তার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, “আমি যদি আইসিটি ও টেলিকম খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েতে কাজের সুযোগ পাই, তাহলে দারুণভাবে আমাার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারব। আমি সিনিয়রদের কাছে শুনেছি যে, পারফরমেন্সই হুয়াওয়ের চালিকাশক্তি। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আমি অনুপ্রাণিত বোধ করছি। একটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত বৃদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমি প্রস্তুত।”

    হুয়াওয়ের বেশিরভাগ কর্মীকে দেশীয় জনবল থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং হুয়াওয়ের অন্যান্য কার্যালয়গুলোতেও অবদান রাখছে।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.