ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) তত্ত্বাবধানে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সহযোগিতায় এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হচ্ছে সপ্তমবারের মতো ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১’। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১ এ আগ্রহীগণ http://bsf.basis.org.bd/NASA-Registration-Form লিঙ্কের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের শেষ তারিখ ১৫ আগস্ট । আগামী ২ থেকে ৩ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ভার্চুয়ালি ২৫১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, নকশাবিদ, চিত্রশিল্পী, উদ্যোক্তাসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা। এবছর নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫১টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) ভার্চুয়ালি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।
গতকাল বুধবার (২৮ জুলাই) বেসিস নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২১ আয়োজন উপলক্ষে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি এক লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমাদের সৃজনশীল শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ সমাধান করছে এবং উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নিচ্ছে। গতবার এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৫০ দেশের ৩৮০০ প্রজেক্টের মধ্যে বাংলাদেশের টিম বুয়েট জেনিথ অনারেবল মেনশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে। ২০১৮ সালে বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের অলিক দলের প্রকল্প লুনার ভিআর শীর্ষ ২৫ দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরিতে কাজ করছি। বেসিস নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর মতো আর যেসব কর্মসূচী হাতে নেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বেসিসকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, একটা প্রতিযোগিতা থেকে আমরা নতুন নতুন অনেক বিষয় শিখি; নতুন নতুন অনেক উদ্ভাবন বের হয়ে আসে। আমাদের মেয়েদেরকে এই প্রতিযোগিতায় আরও বেশি করে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাব। আমাদের দেশের মেয়েরা সব ক্ষেত্রে ভালো করছে। মহাকাশ গবেষণায়ও আমাদের মেয়েরা নেতৃত্ব দেবে। নাসার নির্দেশনায় প্রত্যেক গ্রুপে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি টিমের জন্য অতিরিক্ত পয়েন্ট যোগ করবে।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল বুটক্যাম্প করা হবে। আশা করছি আমাদের দলগুলো এবারো ভালো করবে।