ক.বি.ডেস্ক: সিঙ্গাপুরে গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) থেকে শুরু হয়েছে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেস ২০২২। সম্মেলনের প্রথম দিনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ‘‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল স্ট্রাট্রেজি অ্যান্ড প্র্যাকটিস’’ বিষয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে তুলে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা ঘোষিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাত দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন, গত ২০২১ সালের শেষের দিকে দেশে মোবাইল ব্রডব্যান্ড কভারেজ ৯৮ দশমিক পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন পনেরো কোটিতে পরিণত হয়েছে যা ২০১৮ সালে মাত্র চার কোটি ছিল। ইন্টারনেট বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী নেতৃত্ব এবং এই খাতের সকল অংশীজনের সার্বিক সহযোগিতায় কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব সময়েও বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি জাতিসংঘের ব্রডব্যাণ্ড কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত গত ২০২১ সালে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ সেক্টরে এসডিজির লক্ষ্য মাত্রা ৫বি(১),৯সি(১)ও ১৭.৮(১) অর্জন অর্থাত সাশ্রয়ী মূল্যে দেশের জনসাধারণকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও তিনি সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ডিজিটাল সেবা কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেন। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেস ২০২২ সম্মেলনে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আদহাম বিন বাবা, হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু, আসিয়ান ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইয়াং মি ইং, থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালযয়ের স্থায়ী সচিব আজারিন পাত্তানাপাঞ্চাই, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার হুয়াওয়ের ইন্টেলিজেন্ট ক্যাম্পাস সেশনেও যোগ দেন।