ক.বি.ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ‘‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই আইটি ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং দুই বছরের মধ্যে এখানে কার্যক্রম শুরু করা হবে। এখান থেকে প্রতি বছর এক হাজার তরুণ-তরুণি প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের এমডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আব্দুল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।
ডলার আয়ের জন্য আর বিদেশে পাড়ি দেয়ার প্রয়োজন নাই, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই এখন ডলার উপার্জন করা সম্ভব
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান সিরাজী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী এবং কাজীপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। আইসিটি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করে একাডেমিয়া এবং আইটি ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠা করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ফলে আইটি/আইটিইএস খাতে বাংলাদেশের যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখান থেকে প্রতি বছর এক হাজার তরুণ-তরুণি প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। এই তরুণ-তরুণীরা সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবে; ডলার আয়ের জন্য আর বিদেশে পাড়ি দেয়ার প্রয়োজন নাই।
প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আইসিটি খাতে যথাযথ অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির অধিক। সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ৫০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গেছে। প্রতিযোগিতার এই যুগে আমাদের তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নাই। সরকার এজন্যই একটি প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছে। এখন থেকে আর চাকুরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকুরি দিবে। এই আইটি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতেও এখন সিরাজগঞ্জবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো।