Friday, November 22, 2024
More

    সর্বশেষ

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ৯ নারীকে এটুআই’র সম্মাননা

    ক.বি.ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আইসিটি খাতে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৯ জন নারীকে সম্মাননা প্রদান করেছে এটুআই। ৯টি ক্যাটাগরিতে ৯ জন সম্মানিত নারী হচ্ছেন- তামান্না আক্তার নুরা (বিশেষ), মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা (হেলথ টেকনোলজি), মোসা. ফারহানা সাদিকা (কিশোর বাতায়ন), কাউসার আক্তার তাহিন (নারী উদ্যোক্তা-ডিজিটাল সেন্টার), শিউলী আক্তার (ই-কমার্স), হোসনে আরা পারভিন (ই-লার্নিং), তাসলিমা বেগম (শিক্ষক বাতায়ন), জাইমা জাহিন ওয়ারা (উদ্ভাবন) এবং সাকেরা বানু (নারী উদ্যোক্তা-এসএমই)।

    গতকাল ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আইসিটি টাওয়ারে এটুআই আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ী নারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ এবং আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। সভাপতিত্ব করেন এটুআইর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এটুআইর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, এটুআইর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনোমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, বাংলাদেশ বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার স্নিগ্ধা আলী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মৌলিক পরিবর্তন আনতে নারীদের সংসদে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ নারীবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নারীর প্রতি সম্মান না থাকলে প্রগতিশীল সমাজ গঠন সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য জেন্ডার ইকুইটি নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার পাশাপাশি মায়ের নাম অন্তর্ভূক্তকরণ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নারীর প্রাধান্য নিশ্চিতকরণ করার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নে অনবদ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন উদ্যোগের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে, যৌতুক প্রথা হ্রাস পেয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০% নারীর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে আইসিটি বিভাগ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

    জুয়েনা আজিজ বলেন, নারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে যাতে সে সফল হতে পারে। ই-কমার্সসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা বিশ্বাসভাজন তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। নারীদের প্রতি বিনিয়োগ জেন্ডার পেয়ারিটি অর্জনে সহায়ক হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের উন্নয়নে বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন।

    ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। জেন্ডার সমতা আনয়নে তিনি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.