ক.বি.ডেস্ক: বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ ও ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন আমাদের নিজেদের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি নিপীড়িত বাঙালি জাতির একটি পরিচয়ে পরিণত হয়েছে, মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা সাহসী জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি আমরা। গ্রামীণফোন অনলাইন ও অফলাইন উভয়ক্ষেত্রেই মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহারে সচেতনতা প্রয়োজন আছে বলে বিশ্বাস করে। মাতৃভাষার জন্য আমাদের বীর ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের সম্মানে গ্রামীণফোন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘‘অনলাইনের ভাষা’’ শীর্ষক এক ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ভাষার নেতিবাচক ব্যবহার রুখতে স্টিকার ইমেজ ব্যবহারের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতেই এ ক্যাম্পেইনটি চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না এবং তরুণ প্রজন্মও অনেকক্ষেত্রে মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে গ্রামীণফোন বাংলা ভাষার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত বছর গ্রামীণফোন ২৫ পয়সায় মোবাইল-টু-মোবাইল বাংলা এসএমএস ট্যারিফ সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে, কোন ব্যবহারকারী যদি বাংলায় এসএমএস লিখে কাউকে পাঠায় তাহলে তাকে প্রচলিত মূল্যের পরিবর্তে মাত্র ২৫ পয়সা খরচ করতে হবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, গ্রামীণফোন ‘ভাষার প্রতি ভালোবাসা’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ চালু করে। সঠিকভাবে বাংলা জানা থাকলে যে যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা দূর হয় প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের এ বিশ্বাসের ওপরই গুরুত্বারোপ করে এ উদ্যোগটি। ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘কথাগুলো হারিয়ে না যাক শব্দের অভাবে’ এ প্রতিপাদ্যের অধীনে গ্রামীণফোন একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন এর ওয়েবসাইট ও সেলফ সার্ভিস ডিজিটাল কেয়ার অ্যাপ মাইজিপিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য গ্রাহকসেবা চালু করে। এখানে শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের জন্য সাইন-লাইন ডিজিট কেয়ার সুবিধা প্রদান করা হয়।