ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) এর ২০২২-২০২৩ মেয়াদের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ (ইসি) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষিক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি রাজধানীর একটি স্থানীয় পার্টি সেন্টারে আয়োজিত অভিষেক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত ইসিদের শপথবাক্য পাঠ করান বেসিসের সাবেক সভাপতি এ তৌহিদ।
অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসিসের নবনির্বাচিত জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকা, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, সাত পরিচালক হাবিবুল্লাহ্ নেয়ামুল করিম, একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, তানভীর হোসেন খান, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল এবং রাশাদ কবির। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, শামীম আহসানসহ বিদায়ী ইসির সদস্যবৃন্দ, বেসিসের সাবেক ইসির সদস্যবৃন্দ, বেসিসের সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দুতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, বেসিস শুধুমাত্র সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যই নয়, দেশের সমগ্র আইসিটি খাত নিয়েই কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছর আইসিটিকে ‘‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’’ ঘোষণা করার মাধ্যমে এই সেক্টরকে নতুন সম্ভাবনার দিয়ে এগিয়ে দিয়েছেন। সেই চ্যালেঞ্জকে বাস্তবায়নে বেসিসকে প্রয়োজনীয়তা সহযোগিতা প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগেও সহায়তা করা হবে।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বেসিসের কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর উন্নয়ন ও তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে যে অগ্রণী ভূমিকা রাখে তা প্রশংসনীয়। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বড় হচ্ছে। সম্ভাবনা বাড়ছে। স্বপ্নটাও অনেক বড় করে দেখতে হবে। সফটওয়্যার তৈরির পাশাপাশি, আশা করি তারা স্টার্টআপ, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মত বিষয়গুলাতে তরুণদের দক্ষ করে তুলবে এবং প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি আইসিটিকে ‘‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’’ ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা শুধুমাত্র বেসিস বা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নয়, বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে সেটি বাস্তবায়নে কাজ করবো। আমরা দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে ও বেসিসের সকল সদস্য কোম্পানির ব্যবসায় সম্প্রসারণে স্থানীয় বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ে কাজ করবো। এজন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি, ব্যবসায়বান্ধব নীতিমালা তৈরি, নতুন বাজার খোঁজা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং ও মূলধন/বিনিয়োগের বিষয়গুলোকে সামনে রেখে কাজ করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি সদস্যের উন্নয়ন মানেই বেসিসের উন্নয়ন, বেসিসের উন্নয়ন মানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও সর্বোপরি বাংলাদেশের উন্নয়ন। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আগামী দুই বছর আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাবো।